অনেক দেশে বাংলাদেশের মানুষের পদচিহ্ন সোনার হরফে লেখা রয়েছে: অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভূঞা

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশের মানুষের পদচিহ্ন সোনার হরফে লেখা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে আমরা হয়তো একটি স্বাধীন পতাকা পেতাম না। আজ বুধবার (২৯ মে) ‘‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’’। উপলক্ষে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভূঞা।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ দিবসটি উদ্যাপনে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি সার্কিট হাউজের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আরএমপি’র কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে আরএমপি চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি’র অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনিসুর রহমান।

আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর আত্মউৎসর্গকারী সদস্যদের স্মরণ করে প্রধান অতিথি বলেন, পৃথিবীর অনেকেগুলো দেশে বাংলাদেশের মানুষের পদচিহ্ন সোনার হরফে লেখা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যদি এ দেশ স্বাধীন না হতো, তাহলে হয়তো বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশের পতাকা বিশ^বাসীর নিকট তুলে ধরতে পারতাম না। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

প্রধান অতিথি বলেন, আমরা যখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করি তখন আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের ইউনিফর্মের সঙ্গে লাগানো থাকে। এটা এক বিরল সম্মানের বিষয়। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী যারা শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করেছে তাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। মানবাধিকার যেখানে ভুলণ্ঠিত সেখানে সকল সশস্ত্র বাহিনী এগিয়ে যাবে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান অতিথি বলেন, আমরা সেই ভাগ্যবান শান্তিরক্ষী বাহিনী যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি। এসময় তিনি অ্যাঙ্গোলা, কম্বোডিয়া, সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া ও পূর্বতিমুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর কথা স্মরণ করেন।

উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সকল পুরুষ-নারীকে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারী মনোভাব বজায় রাখা, কর্তব্যপরায়ণতা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করে ২০০৩ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি’র ডিআইজি (প্রশাসন) রখফার সুলতানা খানম, ডিজিএফআই’র কর্ণেল জিএস এবিএম জাকিউল হাসান ভূঁঞা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) মোহাম্মদ কবির উদ্দীন, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক, অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সল মাহমুদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকবৃন্দ, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট এবং বিএনসিসির সদস্যবৃন্দ।

আলোচনা সভার শুরুতে শান্তিরক্ষী মিশনে যারা শাহাদত বরণ করেছে তাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে প্রধান অতিথি আরএমপি চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *