স্টাফ রিপোর্টার: ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার পশ্চিম বালিয়াডাঙ্গায় ভ্যান চালক জালাল উদ্দিন হত্যা মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষের ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য গ্রহন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবীদের জেরা ও যুক্তি-তর্ক শুনানী শেষে মামলার ৩ জন আসামীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ এবং ৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালত আসামীদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেক আসামীকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেন।
রোববার বেলা ১১ টায় আসামী পক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ দায়রা জজ আদালাত রাজশাহী এর বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার আস্কার পুর গ্রামের মৃত: রুস্তম আলীর ছেলে মো: মিনারুল ইসলাম, মো: মোকছেদ আলীর ছেলে মো: মাসুদ রানা এবং সাদিপুর পৌর অংশ এলাকার মো: জুলহাস ইমরুল কায়েস জুয়েল।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, দন্ডিত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভ্যান ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে গত ৯ অক্টোবর ২০২০ইং তারিখে আনুমানিক পনে ৫টার দিকে চারঘাট চৌরাস্তা মোড় হতে জালাল উদ্দিনের ব্যাটারী চালিত ভ্যানে যাত্রী বেশে রওনা হয়। সন্ধ্যা পনে ৭ টার দিকে পশ্চিম বালিয়াডাঙ্গা এলাকার জুয়েলের আম বাগানের পূর্ব পাশে জালাল উদ্দিনের ভ্যান থামিয়ে তার গলায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে। এ সময় ভিকটিম বাচার জন্য চিৎকার শুরু করলে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র ফেলে ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ভিকটিমকে আহত অবস্থায় চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন ভিকটিমের ছেলে মো: আ: মানিক চারঘাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি এডভোকেট আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। সামান্য চার্জার ভ্যান ছিনতাই করার জন্য তারা এ ধরনের পৈশাচিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট হামিদুল হক বলেন, এই মামলায় আদালত প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে সক্ষম হননাই। আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করলে অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবো।