স্বদেশ বাণী ডেস্ক: আবারও রাজপথে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিএনপি। দুই দশক ধরে রাজপথে থেকে অনেকটা ক্লান্ত দলটির নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। সংগঠনে গতি আনতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে দলটির হাইকমান্ড।
দলের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলো ঢেলে সাজানো হবে। এই লক্ষ্যে তিন মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএনপি অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কমিটির ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
গতরাতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগরের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সঙ্গে বিএনপির ভ্যানগার্ডখ্যাত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরের চারটি শাখার কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগের প্রায় আড়াই মাসের আন্দোলনে এসব কমিটির শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা সন্তোষজনক না হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। শিগগিরই এসব সাংগঠনিক জেলার নতুন কমিটি দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না নেতৃত্বাধীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিলুপ্ত কমিটিতে নতুন কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
২০২১ সালের ২ আগস্ট আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও রফিকুল আলম মজনুকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও আমান উল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক এবং আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়। যদিও ঢাকা মহানগর উত্তরে? এখন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ঢাকা মহানগরের উত্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ শাখার ডোনারকে দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন ছিল। কারণ হিসাবে নেতারা জানান, ডোনার ততটা রাজনীতি বোঝেন না, তিনি মূলত পেশাজীবী সংগঠন করা নেতা। আর আমিনুল হক দলকে গতিশীল করতে চেষ্টা করেছেন, রাজপথেও ছিলেন সক্রিয়। ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক ও জাহিদুল কবির জাহিদকে সদস্য সচিব করে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়। এসব কমিটিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিট কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল তখন। কিন্তু তারা দীর্ঘ সময়েও সম্মেলনের আয়োজন করতে পারেননি। এমনকি গত জাতীয় নির্বাচনের আগের আন্দোলনেও রাজপথে শীর্ষ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন।