চারঘাটে জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে, ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা

রাজশাহী লীড
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রসহ ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা রয়েছেন আত্মগোপনে। এতে করে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা কার্যক্রমও। বুধবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিয়ন সরেজমিন ঘুরে গেছে জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা।
উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের পরিষদের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নের চেয়াম্যানরা রয়েছেন আত্মগোপনে। একমাত্র ব্যতিক্রম নিমপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। প্রতিকুল পরিস্থিতিতে জনগনকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আত্মগোপনে যাওয়া প্রতিনিধিরা হলেন, চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ আহমেদ লনি, নারী ভাইস চেয়ারম্যান জমেলা বেগম, পৌরসভার মেয়র একরামুল হক, চারঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি,সরদহ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধু, ভায়ালক্ষিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, শরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন। এসব চেয়ারম্যানদের সচিবদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে চেয়ারম্যানরা গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অদ্যবধি তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। দুর থেকে পরিষদের জরুরী কাজ কর্মে স্বাক্ষর লাগলে তা তারা গোপনে করিয়ে আনছেন বলে দাবি করেন প্রতিটি পরিষদের সচিবরা।
অনদিকে সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহিতারা বলছেন আজ এক সপ্তাহ ধরে আমরা চেয়ারম্যানের নাগাল পাচ্ছিনা। পরিষদে আসলে বলা হচ্ছে চেয়ারম্যানরা বাড়ী আছেন। আবার বাড়ী গেলে বলা হচ্ছে চেয়ারম্যান সাহেব বাইরে আছেন। এভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চারঘাটের সেবা গ্রহিতরা।
বিষয়টি সম্পর্কে আত্মগোপনে থাকা চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদু হাসান বলেন, আসলে ৫ আগষ্টের পরে বিভিন্ন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর এর স্বীকার হয়েছে তাতে আমরা শংকিত ও নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। তাই পরিষদে বসে কিভাবে সেবা দেব। এমন অভিযোগ পৌর মেয়র একরামুল হকসহ সকল জনপ্রতিনিধির।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, থানার কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক। পুলিশ এখন জনগনের সেবায় সোচ্চার রয়েছে। ফলে চারঘাটে কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নেই।
সার্বিক বিষয়ে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম বলেন, জনপ্রতিনিধিরা ভয় না পেয়ে পরিষদে বসা উচিত।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *