রাজশাহী সিটি করপোরেশনের চালু হয়েছে নাগরিক সেবা, শুরু হবে উন্নয়ন কাজও: নতুন প্রশাসক 

রাজশাহী লীড
স্টাফ রিপোর্টার: স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের পর ব্যাপক ভাংচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। বাকী যেসব সেবা এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি সেগুলো আজ- কালের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নতুন প্রশাসক । এ সময় তিনি সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দর শহর রাজশাহী। এটি রাজশাহীবাসীর গৌরবের। আমি গতকাল (১৯ আগস্ট) দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আজ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি। জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বা সেবাসমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা হবে। ইতোমধ্যে অনেক নাগরিক সেবা চালু হয়েছে, যেগুলো বাকি রয়েছে, সেগুলোও আজকের মধ্যে চালু করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতাভুক্ত উন্নয়ন কাজসমূহ শুরু করা হবে। আয়ের খাতসমূহ দ্রুতই চালু করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের কোন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নগর ভবন থেকে রক্তের দাগ ও বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, যেখানে রক্তের চিহ্ন পাওয়া গেছে সেই রুমটিকে আমরা ক্রাইম শীন হিসেবে ব্লক করে দিয়েছি, সেটা এখনো পরিষ্কার করার হয়নি যাতে সেই বিষয়ে তদন্ত করা সম্ভব হয়। আর অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত করে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সম্ভাব্য পরিমাণ ও করণীয় প্রস্তাব রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের জনবল যৌক্তিকীকরণের জন্যও আলাদা একটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, নগর ভবন থেকে লুট হওয়া মালামাল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নগর ভবনে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করছি। যারা ফেরত দিবেন, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাবো। তবে পরবর্তীতে কারো কাছে সিটি কর্পোরেশনের কোন সম্পত্তি পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোঃ মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাঈদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *