বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি: বিদেশ থেকে বিকাশে পাঠানো টাকা ভুল নম্বরে চলে যাওয়ার পর সেই টাকা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে ইউনিয়নটির দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক। উদ্ধার হওয়া ৩০ হাজার ৬০০ টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন- পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক ও উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী। সোমবার(০৩ মার্চ) ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করে পুরো টাকা উদ্ধার করে নিজ দ্বায়িত্বে নিয়ে প্রকৃত মালিক সাজনারা বেগম ওরফে নাজমার বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ওমান প্রবাসী সেলিম আহমেদ এর নিকট থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার জন্য ওই প্রবাসীর চাচী নাজমা বেগম তার বিকাশ নম্বর দেন। সেই বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার ৬০০ টাকা পাঠান ওই প্রবাসী। টাকা পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চাচীর মোবাইলে কল দিলে তিনি(চাচী) জানান টাকা আসেনি। বিকাশ নাম্বার চেক করে জানতে পারেন চাচীর পাঠানো বিকাশ নম্বরটির একটা ডিজিট ভুল ছিল। যার কারণে অন্য নম্বরে সেই টাকা চলে গেছে।
নাজমা বেগম বিষয়টি এলাকার শাহানুর জালালকে জানানোর পর তিনি (শাহানুর জালাল) সেই ভুল নাম্বারে কল দিয়ে বলেন ভুলক্রমে তার বিকাশ নম্বরে টাকা গেছে । ওই লোক সাথে সাথেই মোবাইল বন্ধ করে দেন।
অনেক চেষ্টা করেও ওই লোকের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে শাহানুর জালাল তার ভাতিজা স্থানীয় স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষক মিলাদ আহমেদকে জানান ।
মুঠোফোনে কথা হলে মিলাদ আহমেদ জানান, আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি তাৎক্ষণিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার জাতীয় পরিচয়পত্র তথ্য খুজে বের করে জানতে পারেন- লোকটি রাজশাহী’র বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা। পরে ওই ইউনিয়নের প্রশাসকের দ্বায়িত্বে থাকা উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলীর সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিস্তারিত বিষয়টি বলেন। তখন তিনি একটা ব্যবস্থা হবে বলে তাকে আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রতিটা এলাকার জন্য জনপ্রতিনিধির দ্বায়িত্বে থাকা দ্বায়িত্বশীল, সৎ, সাহসী অফিসার গর্বের।
নাজমা বেগম সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ঢলচানপুর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল উদ্দীনের স্ত্রী।
তার মুঠোফোনে কথা হলে বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি সেই টাকা ফিরে পাবো। ইউনিয়টির প্রশাসকসহ যারা আমার টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
মঙ্গলবার কথা হলে,প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মনসুর আলী জানান,নাম ঠিকানা জানানোর পর তিনি ওই ব্যক্তিকে ইউনিযন পরিষদে ডেকে নিয়ে বলেন,আপনার বিকাশ নম্বরে ভ’লক্রমে একজনের টাকা এসেছে। পরে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন এবং পুরো টাকাই ফেরত দেন। সেই টাকা নিজ হেফাজতে নিয়ে প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়েছি।
বাঘা উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, জনসেবায় দায়িত্ব পালনে তিনি যে পরিশ্রম করে চলেছেন, তার অংশ মাত্র এই মহৎ কাজটি । তার কাজে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।