স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে মুসলিম তাওহিদী জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে এবং জেলায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন। বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
এদিকে সংঘর্ষে চারজন নিহতের প্রতিবাদে মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সমাবেশ করছেন না।
সংগঠনের নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের বাধার কারণে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না পারায় তারা ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মুসলিম ঐক্য পরিষদকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জেলায় চার প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন র্যাব ও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য (২৫) নামে এক যুবক ফেইসবুক আইডি ‘হ্যাক’ করে মহানবীর বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য ছড়ানোর পর রোববার মুসলিম তাওহিদী জনতার ব্যানারে সমাবেশ থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক মাদ্রাসার ছাত্রসহ চারজন নিহত ও ১০ পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়। সূত্র: খোলা কাগজ।
স্ব.বা/শা