ভারতকে জবাব দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান!

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের উৎসস্থলে আঘাত করার অধিকার ভারতের রয়েছে বলে দেশটির নবনিযুক্ত সেনাপ্রধানের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবনের এই মন্তব্য “দায়িত্বজ্ঞানহীন” ও “প্ররোচনামূলক” বলে বিবৃতিও দিয়েছে ইসলামাবাদ। এক প্রতিবেদনে এখবর নিশ্চিত করেছে আনন্দবাজার।

বুধবার (১ জানুয়ারি) টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বালাকোটের ঘটনা ভারত যেন ভুলে না যায়। তাছাড়া এই ধরনের হামলা হলে পাকিস্তান তার সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসালামাবাদ।

প্রসঙ্গত, ভারতের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দায়িত্ব নিয়েছেন মনোজ মুকুন্দ নরবনে। ওই দিনই সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তান মদদ দেওয়া বন্ধ না করলে দেশটির অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের উৎসস্থলে পূর্ব-পরিকল্পিত আঘাত করার অধিকার ভারতের রয়েছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে অভিযানই তার প্রমাণ বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল নরবনে।

এরপর বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘নিয়ন্ত্রণরেখায় পূর্ব-পরিকল্পিত হামলা সম্পর্কিত ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যকে খারিজ করছে পাকিস্তান। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর বা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতের দিক থেকে যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে পাকিস্তান যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং প্রস্তুত তানিয়ে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। বালাকোটে ভুল অভিযানের পর পাকিস্তান কী জবাব দিয়েছিল, সেটা যেন কেউ ভুলে না যায়।’’

এরসঙ্গেই শান্তির বার্তাও দেওয়া হয়েছে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ভারত যতই উস্কানি দিক, গোটা অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পাকিস্তান কাজ করে যাবে।’’

গতবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ভারতের ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হলে পাক-ভারত সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বাড়ে। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে পাকিস্তানে ঢুকে বালাকোটে অভিযান চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী। তারপরের দিন ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ভারতে ঢুকে পড়লে তাকে তাড়া করতে গিয়ে ধরা পড়েন ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পরবর্তীতে ১ মার্চ অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।

এরপর সীমান্তে উত্তেজনা কিছুটা কমলেও ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তোলার পর থেকেই উপত্যকায় কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি হয়। এতে দু’দেশের সম্পর্কে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়।

বুধবারের ওই বিবৃতিতে সেই প্রসঙ্গ তুলে ইসলামাবাদ জানায়, “কাশ্মীরে অমানবিক নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের নাগরিকদের প্রতি সমর্থন সবসময়ই থাকবে পাকিস্তানের। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *