আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী জয়ের যেন বিচার হয়: মৃত্যুর আগে জোতি

রাজশাহী লীড

স্টাফ রিপোর্টার: বিষপানের পর জোতি পরিবারের সদস্যদের কাছে বলে, ‘আমার সব শেষ। তোমরা জয়কে ছেড়ো না। ওকে পুলিশের হাতে তুলে দাও। ও যেন কিছুতেই ছাড়া না পাই। আমি চলে যাচ্ছি। তবে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী জয়ের আমি বিচার চাই। ওর যেন বিচার হয়।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালের মর্গের কাছে কান্না জড়িত কন্ঠে এসব কথা বলছিলেন, বিষপানে আত্মহনকারী স্কুলছাত্রী ফারজানা ইয়াসমিন জ্যোতির (১৫) চাচাত ভাই আরিফুল ইসলাম।

জ্যোতি চারঘাটের মারিয়া এলাকার ফজেল জোয়ারদারের মেয়ে। জ্যোতি মারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, জ্যোতির সঙ্গে জামিউল ইসলাম জয়ের দুইবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাদে তারা মেলা-মেশাও করেছে। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে জয় জ্যোতিকে মুঠোফেনে বানেশ্বর বাজারে ডাকে। এর পরে তাদের কি কথা হয়েছে তার কারো জানা নেই। জয়ের সঙ্গে দেখা করার পরে জোতি বাড়ি ফেরার সময় বিষ কেনে। পরে বাড়িতে এসে জোতি বিষ পান করে।

পরে আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে মৃত্য বরণ করে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দু’বছরের প্রেমের সম্পের জেরে জয় জ্যোতিকে একাধীকবার ধর্ষণ করে। মূলত সেই কারণে জ্যোতি মৃত্যুর সময় জয়ের কথা বলে গেছে বলে পরিবারের দাবি।

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই বছর ধরে জয় ও জ্যোতির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। জয় রাজশাহীর একটি কলেজে পড়া-লেখা করে। জামিরুল ইসলাম জয় বানেশ্বরের বালিয়াঘাট এলাকার আসলাম উদ্দিনের ছেলে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ের প্রলভোনে বানেশ্বরের একটি বাড়িতে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মেয়েটি জয়কে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু জয় তাতে অস্বীকার করে মেয়েটি ফিরিয়ে দেয়।

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। সূত্র: সিল্কসিটি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *