স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীর পদ্মায় বিয়ের অনুষ্ঠানের নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা সহ এখোনও নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন বলে তাদের পরিবারের পক্ষথেকে জানানো হয়েছে। নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দলকল বাহিনী, বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও বিআইডাবøæটিএ’র একটি ডুবুরি দল যৌথভাবে উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। সর্বশেষ দুপুরে একলাস আলী ও পরে রতন আলী নামের দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে চারজনে।
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, গতকাল শনিবার তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে একলাস আলী (২২) ও আড়াইটার দিকে রতন আলী (৩০) নামের দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলের পাশেই তাদের লাশ ভেসে উঠে। এর আগে সকালে চারঘাট এলাকা থেকে মনি খাতুন নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। নিখোঁজরা হলেন- কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা (১৬), চাচা শামিম হোসেন (৩৫), শামিমের মেয়ে রশ্নি খাতুন (৭), কনের ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুন (১৩) এবং খালা আখি খাতুন (২৫)। এছাড়াও ডুবে যাওয়া নৌকাও উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান নৌ পুলিশের ওসি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী, বিজিবি ও নৌ-পুলিশ রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। সকালে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিআইডাবøæটিএ’র একটি ডুবুরি দল। এই নৌকা ডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও পদ্মাপাড়ে নিখোঁজ ও হতাহতের অনুসন্ধান উদ্ধার কার্যক্রম সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নিহতের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়াও আহতের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার বলেও জানান এই সরকারি কর্মকর্তা।
শুক্রবার চরখিদিপুর এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে দুইটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশু মারা যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানের যাত্রী নিয়ে পবা উপজেলার খানপুর থেকে ডাইঙ্গেরহাট যাচ্ছিল নৌকা দুইটি। রাতেই দমকল বাহিনী ও বিজিবি উদ্ধার অভিযান চালায়। খবর পেয়ে সিটি মেয়র ও রাজশাহী-৩ আসনের এমপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
নিখোঁজ কনের নাম সুইটি খাতুন পুর্ণি (২০)। তিনি পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট গ্রামের শাহীন আলীর মেয়ে। আর বরের নাম আসাদুজ্জামান রুমন (২৫)। তিনি চরখানপুরের মৃত ইনছার আলীর ছেলে। নিহত শিশুর নাম মরিয়ম (০৫)। সে বসুয়া এলাকার রতন আলীর মেয়ে। দুই মাস আগে তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। শুক্রবার বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে তারা ফিরছিল।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, খানপুর এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর কনে নিয়ে পবা উপজেলার ডাইঙ্গেরহাট যাচ্ছিল। দুইটি নৌকায় ৩৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৬ জন শিশু। সন্ধ্যায় চরখিদিরপুর এলাকায় দুই নৌকা ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।
স্ব.বা/বা