তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে বিএনপি মতাদর্শী এক স্কুল শিক্ষক হামলা করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের তিন সদস্যকে জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ১২ এপ্রিল শনিবার আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে শিক্ষক কামরুল ইসলাম (মাস্টার) দিগরের বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখানো তাদের অভিযোগ আমলে নেননি। ফলে পুলিশের এমন প্রশ্নবিদ্ধ ভুমিকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃস্টি হয়েছে।
তারা স্থানীয় সাংসদ ও পুলিশ সুপার এসপির জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে তারা কিছু করতে পারছেন না।
অন্যদিকে আহতরা হলেন-রেজাউল করিম (৪৩),আব্দুর রশিদ (৪২) ও তুহিন হাসান (৩০) এদের মধ্যে রেজাউল করিমের অবস্থা আশঙ্কা জনক তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
সেখানে এখানো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আবার নারীদের শ্লীলতাহানী করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তানোরের বাধাইড় ইউপির সাইধারা মৌজায় ৩৯৮ দাগে ৩১ শতক খাস সম্পত্তি রয়েছে এর মধ্যে শিক্ষক কামরুল ইসলাম ১২ ও ভুমিহীন মুক্তিযোদ্ধা নমির উদ্দিন ১৯ শতক সম্পত্তি দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে ভোগদখল করছেন। কিন্তু সাইধারা গ্রামের বিত্তশীল বিএনপির সক্রিয় কর্মী হাজী লোকমান আলীর পুত্র ও জুমারপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম জাল দলিল সৃস্টি করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের চেস্টা করছে। এই সম্পত্তি নিয়ে বাধাইড় ইউপির গ্রাম আদালতে দুবার সালিশ বৈঠক হয এবং দুবারই বিচারকগণ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১২ এপ্রিল শনিবার কামরুল মাস্টার, জহুরুল, এনামুল ও মতিউর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দখলীয় সম্পত্তি জবরদখলের চেস্টা করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা নমির বাধা দিতে গেলে তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে পরিবারের অন্যদের বেধড়ক মারপিট করা হয় এতে তিনজন আহত হয় এদের মধ্যে রেজাউলের মাথায় ধারালো হাসুয়ার কোপ দেয়ায় সে রামেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ছে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য পুলিশ এখানো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অভিযোগ আমলেই নেয়নি।
এলাকাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জনিয়ে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। এব্যাপারে কামরুল মাস্টার বলেন, যুবলীগ নেতারা বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন।তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় রাগের বসে এমনটি হয়েছে।এব্যাপারে বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন,ওই জায়গক কামরুল মাস্টার পাবে না এর পরেও যদি জায়গক দখল করতে যায় সেটা অন্যায়।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা নমির উদ্দিন বলেন,গত উপজেলা নির্বাচনে কামরুল মাস্টারের পরিবার হাতুড়ী প্রতিকের পক্ষে ভোট করেছে আমাদের নৌকার পক্ষে মাঠেই নামতে দেয়নি নৌকার নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গেছে অথচ তাদের জুলুম-নির্যাতনের কোনো বিচার হচ্ছে না। তিনি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃস্টি আকর্ষণ করেছেন।
স্ব.বা/শা