স্বদেশবাণী ডেস্ক: মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় অভ্যুত্থান নেতাদের প্রতি দাবি জানিয়েছে গাম্বিয়া।
এর আগে ২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করেছিল পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশটি।
বুধবার এক বিবৃতিতে গাম্বিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় জানায়, রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের যে সামরিক নেতৃবৃন্দ প্রান্তিকীকরণ করেছে, তারাই এখন মিয়ানমার সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ নিয়ে আমরা গভীর উদ্বিগ্ন।
এক বিবৃতিতে তারা বলছে, সর্বশেষ সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ফের কথিত ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালাতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। বাঞ্জুল সবকিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন ও বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের হামলায় সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের অভিযানে কী পরিমাণ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন, তার সঠিক সংজ্ঞা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় ৫৭ সদস্যের ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির সমর্থন পেয়েছে গাম্বিয়া। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি গণহত্যার বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
যদিও সাবেক স্টেট কাউন্সিলর ও বর্তমানে সেনাবাহিনীর হাতে আটক অং সান সু চি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।