বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় ইভটিজিং ও ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার তাদের পৃথকভাবে আটক করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ সদরে চকদেবপাড়া গ্রামের মছিম উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন জনি (৩৫) বাঘা বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সেই সুবাদে এক গৃহবধুর সাথে তার পরিচয় এবং বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। তারপর থেকে জালাল উদ্দিন জনি প্রায় গৃহবধুর বাড়িতে যাতায়াত করেন।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে গৃহবধুর স্বামী অনুপস্থিতিতে তারা উভয়ে অনৈতিক কাজে মিলিত হয়। এ সময় গ্রামবাসীরা টের পেয়ে তাদের হাতে-নাতে ধরে। এ সময় উভয়কে গণপিটনি দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে প্রেমিক জালাল উদ্দিন জনি তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে প্রেমিকা।
অপর দিকে এক গৃহবধুকে ইভটিজিং করার অপরাধে রবিউল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আটঘরি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। রবিউল ইসলাম উপজেলার আটঘরি গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
১৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ওই গৃহবধুকে রাস্তায় একা পেয়ে তার শাড়ির আঁচল এবং হাত ধরে টানা ঁেহচড়া করে। এ সময় গৃহবধুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। পরে গৃহবধুর বাদি হয়ে রবিউল ইসলামের নামে ইভটিজিং মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তাকে আটক করে পুলিশ।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গৃহবধুকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
স্ব.বা/বা