স্বদেশবাণী ডেস্ক: স্লোভেনিয়ায় বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রপতি বরুট পাহোরের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানাতে অবস্থিত প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে স্লোভেনিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির কাছে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত স্লোভেনিয়ায় বাংলাদেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসের চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামান এবং দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. তারাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র উপস্থাপনের পর স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রপতি বরুট পাহোর এবং রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিতের মাঝে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের পক্ষ থেকে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রপতি বরুট পাহোরকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে স্লোভেনিয়া কাউন্সিল অব দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিতের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রপতি বরুট পাহোরকে অভিনন্দন জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বিশেষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আর্থসামাজিক সূচকে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত একটি স্বাধীন ও সাবভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এবং একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবেও জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারসহ গ্রিন ইকোনোমি ট্রানজিশন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে স্লোভেনিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ মিয়ানমারের (রোহিঙ্গা) নাগরিককে মানবিক বিবেচনায় চার বছর ধরে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার যে অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশ স্থাপন করেছে, সে বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দীর্ঘস্থায়ীভাবে মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে স্লোভেনিয়া সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ।
তাই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে এবং একই সঙ্গে স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে অর্থাৎ ২০৪১ সালের মধ্যে যাতে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে সেজন্য এ দেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরকে সুষ্ঠু ও সহজভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি স্লোভেনিয়ার সমর্থন চেয়েছেন।