বাঘা প্রতিনিধিঃ আগামীকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস। জাতি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে ঢাকা, টুঙ্গিপাড়াসহ সারা দেশের ন্যায় বাঘাতেও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের এই মহানায়ক ১৯২০ সালের এই দিনে ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিশুকালে ‘খোকা’ নামে পরিচিত সেই শিশুটি পরবর্তী সময়ে হয়ে ওঠেন নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারি। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ ও জনগণের প্রতি অসাধারণ মমত্ববোধের কারণেই পরিণত বয়সে হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা।
শেখ মুজিবুর রহমান কিশোর বয়সেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথমবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পরিণত হন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে পরিচালিত করছিলেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি। তাঁর কর্ম ও আদর্শ চিরকাল দেশের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবে।’ চিরন্তন প্রেরণার উৎস, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল বাঙালি জাতির নন, তিনি বিশ্বে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত।
দিবসটি উপলক্ষে বাঘা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে,সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন,সকাল ৯টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ৯টায় আলোচনা সভা,পুরুস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাদ যোহর/সুবিধামত সময়ে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৫ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার অয়োজন করা হয়।
স্ব.বা/ রু