বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় সর্প দংশনে মইদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। শনিবার (২৬-০৩-২০২২) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। সে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার চকরপাড়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। এই দিন বিকেল ৫ টায় জানাযা নামা শেষে আড়ানি বাজার সংলগ্ন গোরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
মইদুল ইসলামের পিতা আজগর আলী জানান, আমার ছেলে নূরনগর আবাসন এলাকায় আলতাফ হোসেনের নির্মানাধীন নতুন বিল্ডিং এর মালামাল পাহারার জন্য সেখানে থাকতো। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে আলতাফ আমার ছেলেকে সাথে নিয়ে বাড়িতে এসে জানায় তাকে সাপে দংশন করেছে। তাকে আমার বাড়িতে রেখে আলতাফ তার বাড়িতে চলে যায়। শনিবার সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে আমার স্ত্রী ও আলতাফ হোসেন জেলার পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার মরদেহ বাড়িতে আনার পর জানতে পারি ছেলে মারা গেছে।
আলতাফ হোসেন জানান, আমি একটি বেঞ্চের উপরে ও মইদুল ইসলাম নীচে মাটিতে বিছানায় ঘুমাচ্ছিলাম। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সাপে কামড় দিয়েছে বলে চিৎকার দিয়ে উঠে। লাইটের আলোতে বাইরে কোন সাপ দেখতে পায়নি। পরে মইদুলের বিছানার কম্বলের মধ্যে সাপ দেখতে পায়। সাপকে মারার জন্য লাঠি বের করতেই সাপ চওে যায়। পরে আলতাফের বাম পায়ের হাটুর নীচে কামড়ের দাগ দেখি। প্রথমে তাকে চকরপাড়ার তুফান উদ্দীন ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তুফান উদ্দীনের পরামর্শে আড়ানীর বিন্দার নামের ওঝার কাছে নেওয়া হয়। সে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সেখান থেকে মইদুলকে তার মা-বাবার কাছে রেখে নিজ বাড়িতে আসি। তখন সে কথা বার্তা বলছিল। শনিবার সকাল ৭টার দিকে তার মাকে সাথে নিয়ে জেলার পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে মইদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রথমতঃ তারা মৃত্যুও খবর না জানিয়ে মরদেহ দাফনের চেষ্টা করছিল। এ খবর জানার পর, পরিদর্শক (তদন্ত) াাব্দুল করিম ও উপ পরিদর্শক আব্দুর রউফকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তারা তদন্ত করে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিযে মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হযেছে। এ ব্যাপাওে ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউডি মামলা নং-১৩ তাং-২৬-০৩-২০২২)।
স্ব.বা/বা