স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ঈদের ছুটি শেষে এবার গ্রামে যাওয়া মানুষদের ঢাকা ফেরার পালা। তবে ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর সদরঘাটে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। একদিকে বরিশাল অঞ্চলের মানুষ যেমন আসছেন, অন্যদিকে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকেই।মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দুপুরে সদরঘাট গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল, ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলোর কর্মীরা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন। মানুষ একে একে লঞ্চে উঠছেন। বেশ কয়েকটা লঞ্চের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেক ভর্তি বসে আছে মানুষ। কেউ আবার কেবিন নিয়ে দরদাম করছেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এমভি ফারহান-৩ নামের লঞ্চ। ছেড়ে যাওয়ার আগে লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকাডাকি করছিলেন ওই লঞ্চের কর্মী সুজন মিয়া। জাগো নিউজকে সুজন বলেন, গতকালের (সোমবার) চাইতেও আজ বেশি লোক বাড়ি যাচ্ছেন। যারা ঢাকায় ঈদ করেছেন তাদের অনেকেই এখন গ্রামে যাচ্ছেন।
লঞ্চটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেকে বসে আছেন শত শত মানুষ। হাতিয়া যাবেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রহিমা বেগম। ঢাকায় ঈদ করেছেন তিনি। জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাড়ি দেখতে যাইতাছি।’ ঈদের আগে কেন গেলেন না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার পোলায় জানে।’
এসময় রহিমা বেগমের ছেলে সুজন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের আত্মীয়-স্বজন সবাই ঢাকায়। এজন্য ভিড় ঠেলে বাড়ি না গিয়ে ঢাকায়ই ঈদ করেছি। এবার একটু স্বস্তিতে বাড়ি গিয়ে ঘুরে আসি।
ঢাকা থেকে মনপুরা, হাতিয়ার দিকে যাবে এমভি তাসরিফ। লঞ্চের কর্মী মিনহাজ জাগো নিউজকে বলেন, লঞ্চে এরই মধ্যে পাঁচ-ছয়শো মানুষ উঠেছে। আর এক ঘণ্টা পর লঞ্চ ছাড়বে। এর মধ্যে আরও মানুষ উঠবে।
ভোলার চরফ্যাশন ও বেতুয়া যাবে এমভি টিপু-১৩। লঞ্চটিতে গিয়ে দেখা যায়, ডেক ভর্তি মানুষ। এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, কাপড়ের দোকানে কাজ করি। ঈদের আগের দিনও খোলা ছিল। তাই ভাবলাম ঈদ ঢাকায় করে যাই। তাড়াহুড়ো করে গিয়ে রাস্তায় ঈদ করার চেয়ে পরে যাওয়া ভালো।
স্ব.বা/ রু