তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার মেয়র ইমরুল হকের ছোট ভাই সোহেলা রানা তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রি কলেজে শর্ত সাপেক্ষে সহকারী লাইব্রেরিয়ানের চাকুরী নিয়েছেন দারুল ইহসানের সার্টিফিকেট দিয়ে বলে নিশ্চিত করেন অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকার। তবে তাকে শর্ত সাপেক্ষে চাকুরী দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, সেই সাথে এমন জালিয়াতি নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন শিক্ষক মহল।
চাকুরির দীর্ঘ নয় বছর অতিবাহিত হলেও শর্ত পুরুন না করে দাপটের সাথে সরকারি বেতন খাচ্ছেন সোহেল রানা । আবার একজন কর্মচারী হয়েও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধি। এক দিকে জাল সার্টিফিকেটে চাকুরি, আবার তিনি হচ্ছেন শিক্ষক প্রতিনিধি, তাহলে কলেজের কি অবস্থা উপর ওলায় জানেন। ফলে সুনাম ধন্য কলেজের এমন জালিয়াতি করে নিয়োগ মানেই সুনাম ক্ষুন্ন।
জানা গেছে, বিগত প্রায় ২০১৩ সালের দিকে পৌর এলাকার ঐতিহ্য বাহী তালন্দ ললিত মোহন ডিগ্রি কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বর্তমান তানোর পৌর মেয়রের ছোট ভাই সোহেল রানাকে। কিন্তু তার একাডেমিক সার্টিফিকেট সঠিক থাকলেও সহকারী লাইব্রেরিয়ানের সার্টিফিকেট ছিল নিষিদ্ধ দারুল ইহসান নামের প্রতিষ্ঠানের। ওই সময় নিয়োগ বোর্ড বাদ দিতে চাইলেও অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকার রানা গংদের ভয়ে চাকুরি দেন এবং এক প্রকার বাধ্য হয়েই দিতে হয় নিয়োগ। নিয়োগের সময় অধ্যক্ষ এবং নিয়োগ পাওয়া রানা শর্ত দেন দুই তিন বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। কিন্তু নিয়োগের নয় বছর অতিবাহিত হলেও কোন সার্টিফিকেট দিতে পারেন নি সোহেল রানা।
অধ্যক্ষ বিষ্ণুপদ সরকার প্রথম অবস্হায় অস্বীকার করে জানান, সঠিক সার্টিফিকেট না থাকলে নিয়োগ হবে না। রানার সার্টিফিকেট সঠিক। কিন্তু শনিবারে পুনরায় জানান, সোহেল রানার দারুল ইহসানের সার্টিফিকেট, তিনি ওই সময় শর্ত দিয়েছিলেন দুই তিন বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোর্স করে সার্টিফিকেট দিবে। কিন্তু এত দিনেও তিনি সার্টিফিকেট দিতে পারেন নি। শর্ত দিয়ে কি নিয়োগ হয়,আর ডিজির প্রতিনিধি কে ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, এতদিন হয়প গেল কিছুই মনে নেই। শর্ত দিয়ে নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে কোন কথা বলতে পারব না, সোহেল রানার কাছ থেকে জেনে নেওয়া ভালো।
সোহেল রানার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে জানান আমাকে কেন ফোন দিয়েছ, কলেজ থেকে যা জানার প্রয়োজন জেনে নিও। আপনি দারুল ইহসানের সার্টিফিকেটে শর্ত দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুতিন বছরের মধ্যে ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট দিবেন কিন্তু দেননি জানতে চাইলে উগ্র মেজাজে বলেন কি দিব না দিব সেটা কলেজ ও আমার ব্যাপার বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার সাথে কথা বলতে হলে দরখাস্ত নিয়ে এমপির সুপারিশ নিয়ে কথা বলতে হবে। আমাকে ফোন দিবেন না বলেও দম্ভক্তি প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে জানতে তৎকালীন তালন্দ কলেজের সভাপতি প্রভাষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ০১৭১১-১৩৬৮৭৫ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও রিসিভ করেন নি তিনি।
স্ব.বা/বা