আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়ায় শুরু হয়েছে গণভোট। ভোট সংগ্রহের জন্য ওই অঞ্চলগুলোতে রুশ সেনারা অস্ত্র হাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বলে বিবিসি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
জাপোরিঝিয়ার এনেরহোদারের এক নারী বিবিসিকে বলেন, ভোট নিয়ে সৈন্যদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তারা এই উত্তর কাগজে লিখে নিজেদের কাছে রেখে দেয়।
এছাড়া খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ান রক্ষীরা জনগণের ভোট সংগ্রহের জন্য শহরের মাঝখানে একটি ব্যালট বাক্স নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে বিবিসি দাবি করেছে।
মূলত ‘নিরাপত্তার’ জন্যই দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট নেওয়া হচ্ছে বলে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে ভোটদান ২৭ সেপ্টেম্বর একচেটিয়াভাবে অনুষ্ঠিত হবে। বাকি দিনগুলোতে বাড়ি বাড়ি গিয়েই ভোট নেওয়া হবে।
রাশিয়া-সমর্থিতরা শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার (২৩-২৭ সেপ্টেম্বর) লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া প্রদেশে গণভোটের ঘোষণা করে, যা ইউক্রেনের প্রায় ১৫ শতাংশ ভূখÐ বা হাঙ্গেরির আয়তনের সমান এলাকা।
শুরু থেকেই ওই গণভোটের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পশ্চিমাবিশ্ব ও ইউক্রেন। ওই গণভোটকে কোনো আইনি পরিণতি ছাড়াই একটি ‘ধোঁকাবাজি’ হিসেবে অভিহিত করেছে আসছে তারা।
বিশেষ করে দোনেৎস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের বিশাল অংশ এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে রয়েছে। কিয়েভ অধিকৃত অঞ্চলের জনগণকে এই গণভোট প্রক্রিয়া বর্জন করার আহŸান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এই ভোটকে স্বাগত জানিয়ে স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের পিপলস কাউন্সিলের প্রধান ভ্লাদিমির বিদিওভকা টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত গণভোট শুরু হয়েছে। এই গণভোট আমাদের দেশের ন্যায্য গতিপথ পুনরুদ্ধার করার জন্য, আমাদের বাসভূমিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, আমাদের ঐতিহাসিক মাতৃভূমি – রাশিয়ার অংশ হিসেবে দোনবাসের মর্যাদাকে সুসংহত করার জন্যই আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে এই কথিত ভোটের আয়োজন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ইউক্রেনে রাশিয়া-সমর্থিত নেতারা ভোটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এটি পশ্চিমাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
স্ব.বা/বা