স্বদেশ বাণী ডেস্ক ঃ দীর্ঘ ৪৭ বছর সফলতার সঙ্গে সমুদ্রে নৌবাহিনীর আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনার পর বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘তিস্তা’ ও ‘কর্ণফুলী’ আজ বুধবার খুলনা নৌ জেটিতে ডি-কমিশনিং করা হয়। কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্ট রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নৌবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনী বহর থেকে জাহাজদুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-কমিশন করেন। এ সময় খুলনা নৌ অঞ্চলের পদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর এ তথ্যসহ আরো জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত ১৯৭৪ সালে তত্কালীন যুগোস্লভিয়া থেকে সংগ্রহ করা জাহাজ দুটি নৌবাহিনীতে কমিশন লাভের পর থেকেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিয়োজিত থেকে নৌবাহিনীর আভিযানিক কাজ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা, অপারেশন জাটকা, অপারেশন প্রতিরোধ, অপারেশন নির্মূল, মা ইলিশ সংরক্ষণসহ বাত্সরিক ও অন্যান্য সমুদ্র মহড়ায় জাহাজদুটির অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত সাফল্যমণ্ডিত। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্তমানবতার সেবায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে ত্রাণ, ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিতরণে জাহাজ দুটির অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
বানৌজা ‘তিস্তা’ ও বানৌজা ‘কর্ণফুলী’ ১৯৭৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশনিং-এর মাধ্যমে নৌবহরে যুক্ত হয়।
স্.বা/রু