নন্দীগ্রামে ইরি-বোরো চাষাবাদে নেমে পড়েছে কৃষকরা

কৃষি লীড

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে আবারো ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদে নেমে পড়েছে কৃষকরা। উত্তরাঞ্চল তথা বগুড়া জেলার মধ্যে ধান উৎপাদনের জন্য এই উপজেলা বিখ্যাত হলেও ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মূলধন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

এ উপজেলার বেশির ভাগ কৃষক বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও, মহাজন এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করে। আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও লাভোবান হতে পারেনি তারা। ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারনে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই অনেক কৃষক ঋণের টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারেনি। আবারো ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ইরি-বোরো চাষে মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ১৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলার তেঘরী গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জানান, বাজারে এখনো ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রয় হ”েছ। কৃষকরা উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেছে।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক জীবন কুমার বলেন, শ্রমিকসহ কৃষি উৎপাদনের প্রধান উপকরণ সার, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত কিš‘ ধানের দাম তুলনামুলক ভাবে বাড়ছে না। এতে ধান উৎপাদন করে বেশ লোকসান গুণতে হ”েছ আমাদের।

উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা. মুশিদুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিগত দিনে এই উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারও ইরি-বোরো ধানের বাস্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *