তানোরে মাঠ জুড়ে সোনালী ধান শ্রমিক বৃষ্টি আতঙ্কে কৃষক

কৃষি
সারোয়ার হোসেন, তানোর: একদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস অন্যদিকে আকাশের বৃষ্টি ও শ্রমিক সংকট।  মাঠ জুড়ে পড়ে আছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালী বোরো ধান। তবে পড়ে থাকা বোরো ধান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তানোরের কৃষক। ইতিমধ্যে আকাশের বৃষ্টির পানিতে তানোরের বিলকুমারী বিলে ডুবে গেছে কৃষকের বোরো ধান। অনেক কৃষক তাদের পাকা ও কাঁচা ধান পানিতে তলিয়ে যাবার আগে কেটে নিচ্ছেন। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়,কৃষকের তৃপ্তি জাগানো রক্ত ঘামানো জীবনের সব উজাড় করে দিয়ে মাঠে ফলানো বাঙালি জাতির প্রধানতম খাবার বোরো ধান। অনেক প্রতিকলতা পার করে উত্তরবঙ্গের ধান ফলানোর অন্যতম এলাকা রাজশাহীর তানার উপজেলা। উপজেলার প্রতিটি এলাকা জুড়ে মাঠের জমিতে শোভা পাচ্ছে পাকা পাকা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি মাঠে একসাথে পেকেছে ধান। কিছু কিছু ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। বারবার প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে সোনালী ধান দেখে মন উজাড় করেছেন হাজারো কৃষকের মন। সেই ধান কাটতে এখন থেকে আরো একসপ্তা আগে থেকে আগমন ঘটতে শুরু করতেন বহিরাগত কৃষি শ্রমিকরা। ফলে গারস্থ কৃষকদের মন একপ্রকার উল্লাসের ছাপ লক্ষ করা যেতো। জানা যায়, এ উপজেলার জনসাধারণ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে ফসল সবচেয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়। শুরু থেকেই নানা দূর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে চাষিদের। সেই সাথে দেখা দেয় ব্যাপক হারে কারেন্ট পাকার আক্রমণ। এবার ধানের কাঙ্খিত দাম ভালো থাকলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগ নিয়ে একটু বেজার রয়েছে কৃষকরা।
সব প্রতিকলতা পিছনে ফেলে তৃপ্তির হাসি ফেলা শুরু হয়েছে কৃষকদের মুখে। কৃষকরা বলছেন, সোনালী রঙে সেজেছে দিগন্ত জড়ো  বোরো ধানের মাঠ। ধান কাটা পড়বে প্রায় কমবেশি এক সাথে। উপজলার হাজারো কৃষকের শ্রমিক হিসেবে ধান কেটে থাকেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের কৃষি শ্রমিকরা। তাঁরাও কিছু কিছু করে আসা শুরু করেছেন  গারস্থদের বাড়ীতে। আজকালের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে পুরো দমে বোরো ধান কাটা। কৃষক তোফাজ্জুল হোসেন জানান, এবার বোরো চাষ করেছি ১১ বিঘা জমিতে। প্রতিব্যারের ন্যায় এবার বালো ফলন হয়েছে শুধু আল্লাহ পাক কোন দূর্যোগ না দেয় তাহলেই ভালো। এমনিতেই কয়েক দিনের ঝড় বৃষ্টির কারনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকের।
 গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক এন্তাজ আলী জানান ৬ বিঘা জমিে বোরো ধান লাগিয়েছন। দু’এক দিনের মধ্যে কাটা পড়বে। কাঁচি হিসেবে ২৫/২৬ মন করে বিঘা প্রতি ফলন হতে পারে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধানের দামও ভালো পাবে কৃষক। হেক্টর প্রতি ৬ মেঃ টন করে ফলন ধরা হয়েছে। সব হিসেব করে ২৫ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ফলন হবে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯০০ মেঃ টন। যা উপজেলার জনসাধারণের চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। আর বোরো আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। ধান কাটা শুরু হয়েছে কৃষকের মনে আনন্দের ছাপও লেগেছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *