সারোয়ার হোসেন,তানোর : রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে কৃষকের কষ্টে অর্জিত আলু উত্তোলনের ধুম। গত’বছরের চাইতে এবার আলুর বাম্পার ফলন ও দামও ভালো পাওয়ায় আলু চাষিদের মুখে দেখা যাচ্ছে হাসির ঝিলিক। উপজেলার বিভিন্ন আলুর মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, জমি থেকে আলু চাষিদের কাছে আলু কিনে ট্রাক, ভুটভুটি,ট্রলীতে করে নিয়ে যাচ্ছে পাইকাররা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,প্রথম থেকে আলুর দাম কম হলে বর্তমানে আলুর বাজার উর্দ্ধগতিতে রয়েছে। প্রথম থেকে ৮/১০টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন জমি থেকে কিনা হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু।
বেশকিছু আলু চাষি জানান,গত’বছরের চাইতে এ বছর আলুর বীজের দাম তিনগুণ বেশি ছিলো। তার পরেও আলু চাষ করতে পিছু তাকাই নি আলু চাষিরা। এবার আলু চাষের জন্যে প্রথম দিক থেকেই সহজে পাওয়া যাচ্ছিলো না ভালো মানের আলুর বীজ ও বাজারে সার। আলু চাষের জন্য সার নিয়ে দেখা দিয়েছিলো চরম সংকট। কোনো রকমে কৃষক আলুর বীজ পেয়েছেন তো সার পায়নি। আবার কেউ আলুর বীজ ও সার দুটোই সময় মত পায়নি। যার জন্য সার ও আলুর বীজ সংকট নিয়ে দিশেহারা হয়ে উঠেছিলো তানোর উপজেলার প্রান্তিক আলু চাষিরা। তবে আলুর ফলন ও দাম ভালো থাকায় সব কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে গেছে আলু চাষিদের।
তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় গ্রামের প্রসিদ্ধ আলু চাষি আশরাফুল ইসলাম বলেন, এবছর আলু রোপনের শুরু থেকেই ছিল বীজ ও সার সংকট চরমে। তার পরেও আলু চাষ হয়েছে ব্যাপক হারে, আলুর ফলনও হচ্ছে বাম্পার, প্রতি বিঘা জমিতে আলু হচ্ছে ৭০থেকে৭৫ বস্তা করে। বর্তমান বাজারে আলুর দাম ও চাহিদা রয়েছে সন্তোষ জনক। যদি এরকম বাজার থাকে তাহলে আলু চাষিরা ভালো লাভবান হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানোর পৌর এলাকার বেশকিছু কৃষক জানান, আলু রোপনের সময় আসলেই কৃষি অফিসের কিছু কতিপয় মুনাফা লোভী অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার সার ডিলাররা বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে বরাদ্দের সার তানোরে না এনে গোডাউন থেকেই বেশি দামে সার বাহিরে বিক্রি করে দেয়া হয়। আবার আলুর বীজ ও সার পাওয়া গেলেও বস্তুা প্রতি গুনতে হয় ৪শ’থেকে ৬শ’টাকা করে বেশি। তবুও সময়মতো মিলেনা টিএসপি, ডিএপি,পটাশিয়াম সার। কিন্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। ফলে,আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে বীজ ও সার ডিলার সিন্ডিকেট চক্রটি। এবিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি দপ্তরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্ব.বা/বা