তানোরে গুদাম ভর্তি পটাশ সার বিক্রি করছেন না ডিলার গণেশ

কৃষি

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বিসিআইসির সাব ডিলার গনেশ গুদামসহ বিভিন্ন জায়গায় সার মওজুদ করলেও বিক্রি করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত সোমবার দিগুণ দামে সার বিক্রির ভিডিও প্রকাশ হলে নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি অফিসার তাকে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে সার বিক্রি করতে বললেও কোন ধরনের কর্নপাত করছেন গণেশ বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। এতে করে কৃষকরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় পটাশ, টিএসপি, ডিএপি ও ইউরিয়া সার। ফলে সার পেতেই দিন পার করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, বিগত এক বছর ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের দোহায়ে চলছে সার সিন্ডিকেট। বছর জুড়ে এসব চললেও কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন। এদিকে তালন্দ বাজারের ওয়ার্ড সাব ডিলার লাবনী ট্রেডার্সের মালিক গণেশ আশপাশের উপজেলা থেকে সকল ধরনের সার মওজুদ করেছেন। বিশেষ করে মান্দা উপজেলার সাবাই হাট থেকে প্রায় দিন গাড়ির গাড়ি সার আনলেও বিক্রি করছেন না। গত মঙ্গলবার এক গাড়ি পটাশ সাবাই হাট থেকে আনেন গণেশ। এনে গুদাম জাত করে সটকে পড়েন।

গণেশের কাছে সার কোথায় থেকে কার দোকান থেকে আনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান সাবাই হাট থেকে, কোন মেমো কাগজ কিছু নেই, যে ভাবে পারছি এনেছি। তিনি পটাশ সার ১৪০০/১৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। বাড়তি দামের বিষয়ে কথা বলা হলে তিনি জানান সাবাই হাট থেকে বস্তাপ্রতি ১১০০ টাকা খরচ পড়ছে। এজন্য বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে। শুধু আমি না সবাই বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু কৃষক রা জানান, সার আসার সংবাদ পেয়ে গণেশের দোকানে আসি।কিন্তু তার দোকান বন্ধ। তিনি ও আরেক বালাইনাশক ব্যবসায়ী কাজল ব্যাপকহারে সার মওজুদ করেছেন। এমনকি গণেশের গুদামে না হলেও ৭০০/৮০০ বস্তা সার আছে। কাজলের বাড়ি ভর্তি সার মওজুদ আছে।

বিসিআইসির এক ডিলার জানান, কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে সার সংগ্রহ করতে পারলে এত বাড়তি দামে কৃষক দের কিনতে হত না। সার নিয়ে কৃষি দপ্তরের আরো ভুমিকা রাখা দরকার।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ ০১৭১৭-৪৫৬০৮৩ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেন নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গণেশকে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে সার বিক্রি করতে হবে। যদি না করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিক কে সাবাই হাট থেকে সার পাচারের বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি জানান আমি কৃষি অফিসার কে বিষয় টি দেখতে বলেছি। তারপরও যদি পাচার হয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে। শুধু সাবাই হাটে চারজন বিসিআইসির ডিলার রা কিভাবে ব্যবসা করেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে অবগত ছিলাম না, নিয়ম অনুযায়ী সব চলবে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক ( ডিসি) খালিদ মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করে সার পাচারের বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি জানান, দ্রুতই ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *