তানোরে আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

কৃষি

সারোয়ার হোসেন, তানোর: রাজশাহীর তানোরে আমন ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্য বছরের তুলনায় এবছর বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় একটু দেরিতে আমন চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন আমন ধানের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কাক ডাকা ভোর থেকে শ্রমিকরা আমন ধানের জমিতে দলবেঁধে ঘাস বাছাই করছেন। কেউ আবার জমিতে রোগবালাই দমন করতে বিষ স্প্রে করছেন। তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রতিবার আষাঢ় মাসে প্রচুর বৃষ্টির পানিতে কৃষকের আমন ধান চাষ করা হয়।

কিন্তু এবছর আষাঢ় মাসে বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় অনেকটা বিলম্ব হয়েছে আমন ধান রোপণ করা। পাশাপাশি জমি চাষের জন্য সার পটাশের সংকট দেখা দিয়েছে চরমে। অনেকে সার পটাশ ছাড়াই শুধু ডিএপি সার দিয়েই করেছেন আমন ধান চাষ। আবার অনেক কৃষক বেশি দামেই পটাশ সার কিনে জমি চাষ করেছেন। এতে করে সার পটাশের জন্য আমন ধানের ফলন অনেকটা কম হওয়ায় আশংকা করছে কৃষকরা। তার পরেও কৃষকরা বাধ্য হয়ে এক বিঘা জমিতে ৩০কেজি সার লাগলে সেখানে ১৫কেজি করে হলেও বেশি দামে সার পটাশ কিনে জমিতে দিচ্ছেন কৃষক।

তানোর পৌর এলাকার ধানতৈর গ্রামের কৃষক নিশান, জসিম উদ্দিন ও এন্তাজ আলী জানান, আমন চাষের জন্য সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় ডিপ মটার পাম্প থেকে পানি কিনে আমন ধান চাষ করেছি। সাথে সার পটাশ কিনতে হয়েছে তিনগুণ বেশি দাম দিয়ে। ফলে সবমিলিয়ে আমন ধান চাষের জন্য যে খরচ হচ্ছে তাতে খরচ টুকু উঠবে কি-না তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় কাজ করছে কৃষকের মধ্যে। আগামীতে যদি এরকম ভাবে সবকিছুর দাম উর্ধগতি হতে থাকে তাহলে কৃষকরা ধান চাষ করাই ছেড়ে দিবে বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে ,চলতি মৌসুমে আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২২হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমি। কিন্তু অর্জন হবে ২১হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহম্মাদ সাইফুল্লাহ জানান, আমনের এই একটি আবাদ কৃষকের অল্প খরচে বেশি লাভবান হয়ে থাকেন। যদি কোন দূর্যোগ বালাই না হয় তাহলে আমনের ফলনও খুব ভালো হয়। আর কৃষকের আমন ধান চাষে কোন রোগ বালাই না হয় সেজন্যেও প্রতিনিয়ত কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *