রাবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণের দাবীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাজশাহী লীড শিক্ষা

রাবি প্রতিনিধি: নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়াকে অপসারণের দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দুর্নীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন জোহা চত্বরে অবস্থান নেন। পরে সিনেট ভবনের সামনে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনকে স্বাধীনতাবিরোধী ও দুর্নীতিবাজ উল্লেখ করে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অপসারণ দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত কুমার বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্ণধার চৌধুরী জাকারিয়া বলেন, ‘তোমরা কত টাকা দিতে পারবা?’ এর মানে কী দাড়ায়? আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সাংবাদিকরা সঠিকভাবে বস্তুনিষ্ঠভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছে না। একটা বাধা আছে। সেটা সরে গেলেই জাতির সামনে দেশের সামনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক দুর্নীতির খবর বেরিয়ে আসবে। আমরা চাই অন্য যে দুর্নীতির খবরগুলো আছে সেগুলোও সামনে আসুক।

ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে চলবে।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ রেজাল্ট ৩.৮৬৯ পেয়েও কেউ কেউ শিক্ষক হতে পারেন না। কিন্তু উপাাচার্যের জামাতা হওয়ার কারণে ৩.২৫ পেয়েও চাকরি পেয়েছেন। একই ঘটনা উপ-উপাচার্যের জামাতার ক্ষেত্রেও।

এ সময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক আলী রেজা টিপু বলেন, দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের দুর্নীতির শিকড় এই শিক্ষাঙ্গন থেকে উপড়ে না ফেলা পর্যন্ত শিক্ষক সমাজ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এই যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক জিন্নাত আরা, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামসুন নাহার, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা মিজানুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক মুজিবুল হক আজাদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে একই দাবিতে শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনে অংশ নেন তারা। এতে শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতির আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, স্বজনপ্রীতির আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিতে থাকেন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *