রাজশাহীতে ২২ বছর অবৈধভাবে চাকুরী করে বেতন উত্তোলন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

রাজশাহী লীড শিক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরী গ্রহণ করে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (উপ-পরিচালক), জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক ও আদর্শ বিদ্যালয়ের সভাপতি (শিক্ষা ও আইসিটি) এডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, রাজশাহী আদর্শ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯১ সালে বিএ পরীক্ষায় কোন বিভাগ না পেয়ে শুধু কৃতকার্য হন।

বিএ সনদ নিয়ে রাণীনগর নৈশ্য বিদ্যালয়ে গত ১৯৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সরকারী বিধি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩য় বিভাগ থাকা আবশ্যক।

কিন্তু সাদেকুল সরকারী বিধি লঙ্ঘন করে এমপিওভুক্ত হন। বিদ্যালয়ে চাকুরীরত অবস্থায় তিনি রাজশাহী টিটিসি থেকে ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে বিএড প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তাকে শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য ছুটি মঞ্জুর করেন। পরপর দুই বার বিএড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন।

এরপর ২০০০-০১ শিক্ষাবর্ষের বিএড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হলে শিক্ষাবর্ষের সনদ জাল করে দ্বিতীয় বিভাগ দেখিয়ে বিএড স্কেল প্রাপ্তির জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে প্রেরণ করলে ২০০৩ সালের জুন মাসে ১ তারিখ থেকে বিএড স্কেলপ্রাপ্ত হন।

পরবর্তীতে তিনি একই বিদ্যালয়ের জাল সনদ দিয়ে ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। পুনরায় সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেল প্রাপ্তির জন্য জাল কাগজপত্র প্রস্তুত করে মহাপরিচালক বরাবর পাঠান। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেল প্রাপ্ত হন।

এরপর শিক্ষক সাদেকুল ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ২০০২ সালের বিএড পাশকৃতপ্রাপ্ত গ্রেড জিপিএ-৩.৫ সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরীতে যোগদান করেন।

শিক্ষক সাদেকুল সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চরম দুর্নীতি করে দীর্ঘ ২২ বছর অবৈধভাবে চাকুরী করে সহকারী বেতন উত্তোলনের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলামের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।সূত্র: দৈনিক উপচার।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *