বরিশাল সিটি কলেজের টাকা আত্মসাতের মামলায় অধ্যক্ষ কারাগারে

জাতীয় লীড শিক্ষা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরিশাল সিটি কলেজের সরকারি ও তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ অধিকারী ও অফিস সহকারি আউয়াল হোসেনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার বিকেলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ওই দুই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক মো. কবির উদ্দিন প্রামানিক না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী শেখ হুমায়ুন কবির মাসউদ জানান, ২০১৩ সালের ২ আগস্ট থেকে ২০১৪ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত বরিশাল সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থেকে অফিস সহকারির সহায়তায় তার নিজ উপ-সহকারী অধ্যাপক পদের সরকারি বেতন ভাতার ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৭৮ টাকা ও এমএলএসএস আউয়াল হোসেনের সরকারি বেতন ভাতার ৮০ হাজার ১৩৫ টাকাসহ মোট ৩ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ টাকা আত্মসাৎ করেন।

২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি কলেজ গভর্নিং বডির গঠিত বরিশাল জেলা সমবায় কার্যালয়ের নিরীক্ষা কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদনে আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হয়। একইসাথে ২০১৪ সালের ১৩ জুন কলেজের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ অধিকারী কলেজ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬০ টাকার মধ্যে কলেজ তহবিল ব্যাংক হিসাবে ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা জমা দিয়ে বাকি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৭৬০ টাকা হাতে রেখে বিনা বাজেটে নিয়ম বর্হিভূতভাবে খরচ করেন।

এছাড়া ওই সময় তিনি ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকাসহ সরকারি ও কলেজ তহবিলের সর্বমোট ৬ লাখ ৬৮ হাজার ১৫১ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৩ জুলাই বরিশাল সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তৎকালীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহানার বেগম দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

চলতি বছর ১৯ জুলাই দুদক মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠালে আদালত মামলাটি চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়ে দেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন। রোববার মামলার ধার্য তারিখে ওই দুই জন আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।

প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র নাথ অধিকারী সহকারি অধ্যাপক পদ থেকে উপাধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি সহকারি অধ্যাপক পদ থেকে পদত্যাগ করে ওইদিন উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। উপাধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সহকারি অধ্যাপক ও উপাধ্যক্ষ দু’টি পদেরই বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *