আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: নভেল করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রভাবে নাটোরের লালপুরে কেজি স্কূলের শিক্ষক-কর্মচারীরা কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী ভাবে ছুটি ঘোষণা নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে উপজেলার ৩০ টি কেজি স্কূলের প্রায় ৫শত শিক্ষক ও ১শত ৫০ জন কর্মচারী বেকার হয়ে পরেছেন। বেতন-ভাতা কিছুই পাচ্ছেনা।
কেজি স্কূল কতৃপক্ষের থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে না। এই কারণে আর্থিক সংকটে ভুগছে শিক্ষক ও কর্মচারীরা। তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোন দোকানদার আর বাকি দিতে চাইছে না। লজ্জায় কারো কাছে হাত পাততেও পারছেন না, দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা এমন কথা বলতে বলতে সে কেঁদে ফেলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু শিক্ষক-কর্মচারী। তার আরও বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা সরকারী ছুটি হলেও বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত চললে স্কূলের শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়ের পরে তাদের বেতন ও ভাতা দেওয়া হয়। সরকারী ভাবে স্কুল ছুটি ঘোষণা পর থেকে শিক্ষার্থীদের বেতন আদায় করা বন্ধ রয়েছে । এই কারণে তাদের বেতন ও ভাতা দিতে পারছেনা অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এবিষয়ে বাংলাদশ কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন লালপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাইদুজ্জামান লিটন বলেন, কিছু কেজি স্কুল কতৃপক্ষ ১ মাসের বেতন ও ভাতা প্রদান করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীদের।
বেকার হয়ে পরা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লালপুর উপজেলার কলেজ মোড়ের রোকেয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা শিক্ষক ও কর্মচারীদের সংকটের সময়ে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্ব.বা/বা