সংবাদ প্রকাশের পর, ডিসির সহায়তা পেল বাঘার সেই মেধাবীরা

শিক্ষা

বাঘা প্রতিনিধি: এবারের এসএসসিতে অদম্য মেধাবীদের নিয়ে জাতীয় একটি দৈনিকে , সংবাদ প্রকাশের পর সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক। গত ২জুন ‘অভাব দমাতে পারেনি ওদের’শিরোনামে বাঘা উপজেলার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪জন মেধাবীদের নিয়ে দৈনিক সমকালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেটি নজরে আসে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের। পরে বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজার মাধ্যমে, বৃহসপতিবার (৪জুন) তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।

নানান প্রতিকুলতার মধ্যেও নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তারা। শুধু এবারের এসএসসিতেই নয় অষ্টম শ্রেণীতেও গোল্ডেন এপ্লাস ও পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল তারা।

এই মেধাবীরা হলো- উপজেলার বেলগাছি গ্রামের বাসিন্দা দিন মজুর সাইনাল উদ্দীনের ছেলে, ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়,কারিগরি ও কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ অনিক ইসলাম,একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আব্দুল্লাহ আল মুসা। সে বাঘা পৌর এলাকার মর্শিদপুর গ্রামের দিনমজুর ইনছার আলীর ছেলে। উপজেলার চকএনায়েত গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে,দাদপুর গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোসাঃ রিশা খাতুন ও উপজেলার চাদপুর গ্রামের দিন মজুর আমিরুল ইসলামের ছেলে, খানপুর জেপি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ সৌরভ।

এদের কেউ কেউ মায়ের হাতের কাজ,হাঁস-মুরগি পালনের টাকা আর প্রাইভেট পড়ায়ে কিংবা সুযোগ বুঝে দিন মজুরের কাজ করে নিজের পড়া লেখার খরচ চালিয়েছে। পণ ছিল যে করেই হোক এস.এস.সিতে ভালো ফল করবেই।তাই ক্ষুধার কষ্ট,আর্থিক অনটন দারিদ্র্যের দৈন্য দমাতে পারেনি ওদের। সবকিছুকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে তারা। তবে চরম দারিদ্র্যের কারনে নিজেদের ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কিত ওরা। এদিকে ভালো ফলাফলের জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *