লোনের তালিকা প্রকাশ করেছে হাবিপ্রবি

শিক্ষা

স্বদেশবাণী ডেস্ক : করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে স্মার্টফোন কিনতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। নির্দেশনা অনুযায়ী হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) থেকে স্মার্টফোন কেনার জন্য আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা ইউজিসিতে প্রেরণ করা হয়।

এর ধারাবাহিকতায় স্মার্টফোন কেনার জন্য ইউজিসির সুদবিহীন সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা শিক্ষাঋণ পাবে হাবিপ্রবি’র ১ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে সফট লোনের জন্য ইউজিসিকে আমরা একটি তালিকা পাঠিয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ইউজিসি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সফটলোন প্রদানের জন্য অনুমতি দিয়েছে। কিভাবে এই ঋণ শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে সে বিষয়ে ইউজিসি থেকে একটি নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে। আমরা অনুষদ ভিত্তিক সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু চার কিস্তিতে সফটলোনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেহেতু ইউজিসির নির্দেশনা শিক্ষার্থীরা পড়ার পর যদি কোনো শিক্ষার্থী লোন নিতে আগ্রহ না দেখায় তাহলে তাকে লোন দেয়া হবে না। এজন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে আমরা আজ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি। তবে লেভেল ৪ সেমিস্টার ২ এবং মাস্টার্সের শেষ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এ লোন দেয়া হবে না। এছাড়া নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী সফটলোনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। কেবলমাত্র যাদের নাম তালিকায় আছে শুধু তারা  গুগল ফর্মে আবেদন করে এই লোন পাবে। আর এই লোন পেতে গেলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ, সব টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হবে। এজন্য আমার আহ্বান থাকবে শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত আবেদন ফর্ম পূরণ করার আগে যেনো ইউজিসির চূড়ান্ত নীতিমালা ভালোভাবে পড়ে নেয়।’

সফটলোনের বিষয়ে ইউজিসি প্রেরিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের যে তালিকা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে, তাদেরকে ঋণের বিষয়টি যথাযথভাবে অবিহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কমিশনে প্রেরিত তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম আছে কিনা তা পুনরায় যাচাই করে দেখতে হবে ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ৮ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে দিতে হবে।’

নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রদানকৃত এই ঋণ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত এবং স্মার্টফোন ক্রয়ের ভাউচারটি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে ১০ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যে সফটলোন অনুমোদন কমিটির সদস্য সচিবের নিকট জমা দিতে হবে।

এছাড়া, ইউজিসির নীতিমালা সম্বলিত নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই ঋণের অর্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন সময়ে ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধে করতে হবে এবং ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীর নামে কোন ট্রান্সক্রিপ্ট ও সাময়িক/মূল সনদ ইস্যু করা হবে না।’

হাবিপ্রবি থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষাঋণের জন্য ২ হাজার ৫২৬ জন শিক্ষার্থীর নামের তালিকা ইউজিসিতে পাঠানো হয়। ইউজিসি জানায়, একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ঋণ প্রদান করা হবে। এর প্রেক্ষিতে তালিকা সংশোধন করে পুনরায় পাঠানো হলে ১ হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থীকে সফটলোন দেয়ার অনুমতি প্রদান করে ইউজিসি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *