ফেব্রুয়ারিতে খুলছে স্কুল-কলেজ, জুন-জুলাইয়ে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

লীড শিক্ষা

স্বদেশবাণী ডেস্ক: করোনা মহামারীতে শিক্ষা ক্যালেন্ডার হয়েছে তছনছ। এবছর হয়নি এইচএসসি পরীক্ষা। ৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমনকি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।

জুনে এসএসসি পরীক্ষা

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে। পাঠ্যসূচি কাটছাঁট করে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তার ভিত্তিতে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে জুন নাগাদ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না হওয়ায় বোর্ড থেকে সনদ দেয়া হলেও তাতে কোনো নম্বর উল্লেখ থাকবে না। শুধু উত্তীর্ণ লেখা থাকে।

এইচএসসি পরীক্ষা জুলাইয়ে

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী বছর জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এছাড়া আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্লাসরুমে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত সিলেবাস শেষ করে একটি প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নেয়া হবে। এরপর পরীক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।

এইচএসসি ফল জানুয়ারিতে

এইচএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হয়ে গেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশ করা হবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসি সমমানের ফল তৈরিতে আমাদের গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ফলাফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল তৈরির বিধান নেই বলে তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য শিক্ষা বোর্ডের অধ্যাদেশে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অধ্যাদেশ জারির পর এইচএসসি সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ২০২১ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবার সম্পূর্ণ ক্যালকুলেশন (হিসাব) ভিত্তিক জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি সমমানের নম্বরের ভিত্তিতে এইচএসসি সমমানের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কেউ যদি মনে করে তার ফলাফল ঠিক নেই তবে সে তা যাচাই করার সুযোগ পাবে।’

ফলাফলের বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘আমরা একটি নির্ধারিত হিসাব-নিকাশের ওপর ভিত্তি করে ফলাফল তৈরি করছি। ফলাফল প্রকাশের পর কোনো পরীক্ষার্থী চাইলে তার নিজের ফল যাচাই করতে পারবে। শিক্ষা বোর্ডে সে ধরনের সুযোগ রাখা হবে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তার প্রাপ্ত ফলের হিসাব বুঝিয়ে দেব।’

এইচএসসির ফল প্রকাশে শিগগিরই অধ্যাদেশ জারি

মহামারীর মধ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হবে। পরীক্ষার ফল সংক্রান্ত আইন রয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিকে রোল নম্বর থাকছে না

২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বর থাকছে না। এর পরিবর্তে সবাইকে একটি করে ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূরীকরণে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

আগে বার্ষিক পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতে যে রোল নম্বর দেয়া হত, তার বদলে শিক্ষার্থীদের এবার আইডি নম্বর দেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রোল নম্বর নিয়ে একটা সমস্যা হয়। প্রত্যেক শ্রেণিতে যে রোল নম্বর থাকে, আমাদের রোল নম্বরের যে প্রথা রয়েছে, তার কারণে একটা অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক সময় যে সহযোগিতার মনোভাব, যেটি থাকার দরকার, অনেক সময় সেটির অভাব ঘটে রোল নম্বরের কারণে, সামনে আসতে চায় সবাই।

‘আমরা চেষ্টা করছি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বরের এই বিষয়ের পরিবর্তে আইডি নম্বর প্রদান করতে, এতে পুরানো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে এবং অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সৎ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে বলে আশা করছি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে সব শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। পুরো শিক্ষা জীবনে সে ওই আইডি নম্বর নিয়ে থাকবে, তাতে তাকে ‘ট্র্যাক’ করা যাবে, সে ঝরে পড়ছে কি না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, (প্রাথমিকে) আমাদের আইডি নম্বর দেয়ার পরিকল্পনা নেই। আগের (বছরের) রোল নম্বরই (নতুন ক্লাসে) দেয়া হবে।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমতা আনা এবং গুণগত মান অর্জনে সরকার কাজ করছে।

‘এবার লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, আমরা আশা করছি, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও হয়ত সমতা আসবে।’

‘কিছু স্কুলে খুব ভালো ফলাফল করে তেমন শিক্ষার্থীরা যায়, কিছু স্কুল থাকে একেবাইরে ভালো ফল করছে না তেমন শিক্ষার্থীরা যায়, এই যে একটা বিরাট রকমের বৈষ্যম্য তৈরি হয়ে যায়, এই বৈষম্যটা তারা স্কুল-কলেজ পার হওয়ার পুরো সময়টায় বয়ে নিয়ে যায়।’

দীপু মনি বলছেন, লটারির মাধ্যমে যেটা হচ্ছে, এই বৈষম্যের জায়গাটা অনেকখানি নিরসন হবে এবং কিছুটা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমতা আসবে। মিক্সঅ্যাবিলিট ক্লাসের কারণে ২০২১ সালে আমাদের গুণগত শিক্ষা অর্জন কিছুটা হয়ত সহজতর হব।

এইচএসসি ও সমমানের ফল নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না

এইচএসসি ও সমমানের ফল নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে এবার বিশেষ পরিস্থিতিতে ফলাফল দেয়া হচ্ছে। ফলাফল নিয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হন তাহলে তিনি নিজ শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করতে পারবেন। তবে আশা করছি রেজাল্ট নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না।

ফরম পূরণের অব্যয়কৃত অর্থ ফেরত প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বোর্ড ওয়েবসাইটে নোটিশ প্রকাশ করবে।

সীমিত আকারে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিকল্পনা

চলমান করোনা মহামারীর মধ্যে সীমিত আকারে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

জেএসসি-জেডিসির সনদে এবার জিপিএ থাকবে না

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবার পরীক্ষা ছাড়াই জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে তোলা হবে বলে তাদের সনদপত্রে কোনো জিপিএ থাকবে না।

ডা. দীপু মনি বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারিনি, সম্ভব হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সম্পন্ন করেছে।

‘ইতোমধ্যে শিক্ষাবোর্ডগুলো জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের কাজও সম্পন্ন করেছে। বোর্ডগুলো সকল শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ সদন দেবে, কিন্তু কোনো নম্বরপত্র দেয়া হবে না।’

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে কিছুটা মূলায়ন করেছি, সে মূল্যায়নপত্রও আমরা সংগ্রহ করব। কিন্তু আমরা কোনো নম্বরপত্র এবার দিচ্ছি না, এ কারণে জেএসসি-জেডিসির সনদপত্রে জিপিএ উল্লেখ থাকবে না।

৩১ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি বই উৎসব

৩১ ডিসেম্বর ভার্চুয়ালি বই উৎসব উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১২ দিন ধরে নতুন বই বিতরণ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি ক্লাসে ৩ দিন করে বই বিতরণ হবে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান কে কোন দিন বই নেবে সেটা ভাগ করে দেবে।’

আগামী ১ জানুয়ারিতে প্রধান শিক্ষকসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। শিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের পাঠ্যবই তুলে দেয়া হবে। তবে অসুস্থ ও সন্তান সম্ভবা শিক্ষকদের উপস্থিত না থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রতিবছর সরাসরি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১ জানুয়ারি উৎসব করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় বই উৎসব পালন করে। এবার করোনার কারণে তা সম্ভব হবে না।

ফেব্রুয়ারিতে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে সশরীরে ক্লাস শুরুর ভাবনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্লাসরুমে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত সিলেবাস শেষ করে একটি প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নেয়া হবে। তার মধ্যে এ দুই স্তরের পরীক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে আগামী বছরের জুনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হবে। এরপর জুলাই-আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে ক্লাস বসিয়ে তা পড়ানো হবে।’

জানুয়ারিতে এমপিওভুক্তির আবেদন

নতুন বছরের (২০২১) জানুয়ারিতেই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) ভুক্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এমপিও নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করা হচ্ছে। আমরা নীতিমালার সংশোধনী প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আশা করি, আগামী মাসে (জানুয়ারি) সংশোধিত নীতিমালা জারি করা হবে। পরিমার্জিত নীতিমালা জারির পর নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন নেয়া হবে।’

চলতি অর্থ বছরে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বাজেট আছে কি না, এমন প্রশ্নের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) হয়তো সম্ভব নাও হতে পারে কিন্তু আগামী অর্থবছরের জন্য আবেদন নেয়া শুরু হবে।’

দীপু মনি বলেন, ‘আগের এমপিও নীতিমালায় কিছু অসঙ্গতি ছিল। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কয়েক দফায় এই নিয়ে আলোচনা করেছি। কর্মকর্তারা কয়েকদফা আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করেছেন। সেটি চূড়ান্ত করতেও কয়েক দফা সভা হয়েছে।’

নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর অসঙ্গতি দূর হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাবি প্রশাসনের অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্তমান প্রশাসনের দুনীর্তি-অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষরে মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাবির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা তাদের কাছে ব্যাখা চেয়েছি। দেখবো তারা সেটি পালন করে কিনা।

এসময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ব্যাখ্যা এখনও পায়নি। সব পাওয়া গেলে এ বিষয়ে আগামী সাপ্তাহ নাগাদ সরকারের সিদ্ধান্ত তৈরি করা হবে।

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

 

 

স্ব:বা/না

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *