শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে লিগ্যাল নোটিশ

লীড শিক্ষা

স্বদেশবাণী ডেস্ক: করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং অনলাইনে শতভাগ ক্লাস নেয়া তথা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী।

নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

নোটিশপ্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচারে অনুরোধ করা হয়েছে। এবং ৩০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে যৌথ কমিটি গঠন করে অনলাইনে শতভাগ ক্লাস নেয়া তথা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ডিজিটাল শিক্ষা কনটেন্ট তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।

অন্যথায় রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ দাতা আইনজীবী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলবে, ক্লাস রুমে একে অন্যের সঙ্গে আগের মতন মেলামেশা করবে। শিক্ষক অভিভাবকগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবেন। ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারি, অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আকারে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ায় আশংকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে। শিক্ষা গ্রহণের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে সরকার প্রতিটি জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। তাই করোনা মহামারি সময়ে যেহেতু অনলাইনে পাঠদানের সুযোগ আছে সেহেতু জীবন সংশয়ের আশংকা রেখে করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সঠিক হবে না।

এর আগে, অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার।

শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে বলা হয়, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ পরীক্ষা, এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষাসহ ইংলিশ মিডিয়াম অনেক স্কুলে শারীরিক উপস্থিতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে যুক্তি তুলে ধরা হয় এ নোটিশে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ জনিত রোগী সনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত দেশে ৮ সহস্রাধিক লোক করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। সুস্থ হয়েছেন কয়েক লক্ষ লোক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে এ ভাইরাস সনাক্ত হয়। পরে পুরো বিশ্বে এর সংক্রমণ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে বিশ্বে কয়েক লক্ষ লোক এতে মৃত্যুবরণ করেন। সম্প্রতি এ ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা আবিষ্কার করে তা প্রয়োগ শুরু করেছে। বাংলাদেশেও গতকাল ২৭ জানুয়ারি থেকে টিকা দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে।- বাসস

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *