২৪ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু

শিক্ষা

স্বদেশবাণী ডেস্ক : আগামী ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর এর মধ্যে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আদেশে স্বাক্ষর করেন মাউশি মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক।

দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল কলেজ খুলে দেয় সরকার। এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত জানালো শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সার্কুলার অনুযায়ী, পরীক্ষা হবে তিন বিষয়ে। বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ গণিত বিষয়ে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান হবে ৫০ নম্বরের। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। তবে তবে পরীক্ষা ছাড়াও এ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর ওপর ১০ নম্বর থাকবে।

যে সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে :
যে সকল অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজী ও সাধারণ গণিত বিষয়) দেয়া হয়েছে সে সকল অধ্যায় এবং ১২ জানুয়ারি হতে শ্রেণি কক্ষে যে সকল অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করা হয়েছে তা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস। সে আলোকেই এই পরীক্ষা হবে।

বার্ষিক/নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বর বিন্যাস:
বাংলা (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে-৫০ । এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৩৫ ও এমসিকিউতে থাকবে ১৫। ইংরেজী (১ম ও ২য় পত্র) বিষয়ের নম্বর হবে ৫০ । এর মধ্যে ১ম পত্রে ৩০ ও ২য় পত্রে ২০ নম্বর থাকবে। সাধারণ গণিত বিষয়ের নম্বর হবে ৫০ । এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষা হবে ৩৫ ও এমসিকিউ হবে ১৫ নম্বরের। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সাথে চলমান সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করা হবে। এছাড়া বার্ষিক পরীক্ষায় ৭ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করা হবে।

তবে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করা হবে। মোট ১০০ নম্বরের ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নপূর্বক বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট প্রদান করা হবে।

২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোন পরীক্ষা নেয়া যাবে না এবং অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে বলে মাউশি নির্দেশনায় জানিয়েছে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *