প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, এক শিক্ষককে স্কুলে আসতে বারণ প্রধান শিক্ষকের

রাজশাহী শিক্ষা

বাঘা প্রতিনিধিঃ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্দেহভাজন শিক্ষককে স্কুলে আসতে বারণ করেছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে প্রতিষ্ঠিত চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, সোমবার (০৬-০৬-২০২২) ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার সময়সূচি দেওয়া ছিল দুপর ১ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু সেই সময়ের আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি জানার পর এক শিক্ষককে দায়ী করে তার বিচারের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভটি স্কুল ক্যাম্পাসসহ চকরাজাপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সেলিম ও পিয়াশসহ অনেকেই জানান, সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার এক ছেলে তাদের সাথে লেখা পড়া করে। তারা জানতে পারে তার মাধ্যমেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়ে স্কুলের কাজে রাজশাহী গিয়েছিলাম। পরীক্ষার সব প্রশ্ন অফিসে ছিল। পরে জানতে পারেন এক ব্যক্তি অফিসে ঢুকে বালা দ্বিতীয়পত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানতে পেরে স্কুলের এক শিক্ষককে দায়ী করে। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা । পরে নকম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা বাতিল করে সব পরীক্ষার শেষে নেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিয়েছেন। ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন,স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এলাকার বাইরে থাকার কারণে তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে মৌখিকভাবে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় স্কুলের সব শিক্ষক পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমিও কক্ষ পরিদর্শন করছিলাম। অফিস কক্ষে এসে দেখি নবম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাকেট ছেঁড়া। যা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে অবগত করা হয়। পরে প্রধান শিক্ষক সেই দিনের পরীক্ষা বাতিল করেন। তার দাবি,অহেতুক তাকে দোষারুপ করা হয়েছে।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুল আযম বলেন, ঢাকায় থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। ঢাকা থেকে ফিরে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, বিষয়টি অন্য মাধ্যমে পরে জেনেছেন। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।

উল্লেখ্য, সোমবার নবম শ্রেণির অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় জেনারেল শাখায় ৫২ জন ও ভোকেশনাল শাখায় ৪৪ জনসহ মোট ৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

 

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *