তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের ভবানীপুর দাখিল মাদরাসায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান চলছে। এখানো মাদরাসায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। মাদরাসায় আসবাবপত্র, কম্পিউটার ল্যাব, একাডেমিক ভবন, শহীদ মিনার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিগত ১৯৮১ সালে কামারগাঁ ইউপির ভবানীপুর গ্রামে ভবানীপুর দাখিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি ও একই বছরে এমপিভুক্ত করা হয়।
মাদরাসায় শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন, কর্মচারী ২ জন ও শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২৫০ জন এবং এবার এস,এস,সি পরীক্ষা দিবেন ২০ জন। ভবানীপুর দাখিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কামারগাঁ ইউপির প্রত্যন্ত পল্লী এলাকায় বাড়ির কাছে ছেলেমেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। কি ভাবে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা যায় এই মাদরাসা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মাদরাসায় বিভিন্ন প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন, খেলা-ধূলা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয় এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ অন্যদিকে সৃজনশীল ও মননশীল হিসেবে গড়ে উঠছে।
তারা পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছেন। ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ধান চাল আদায় করে এই মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে অনেক ছাত্র ছাত্রী লেখা পড়া করে ভালো ভালো জায়গাতে চাকুরী করছেন। এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরের বছরেই ভালো পাঠদানের জন্য এমপিও ভুক্ত করা হয়। তবে মাদ্রাসাটির লেখা পড়া ভালো হলেও মাদ্রাসার তেমন বিল্ডিং ঘর ও প্রাচীর ওয়াল না থাকায় মাদ্রাসার আসবাবপত্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়ে শিক্ষকদের কে। দয়া করে সরকার থেকে বিল্ডিং ও প্রাচীর ওয়াল দিলে মাদ্রাসার খুব উপকার হবে বলে জানান তাঁরা।
এবিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওঃ মতিউর রহমান বলেন, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষকদের যত সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও সম্মানিত করছে কোনো সরকার তা করেনি। তিনি স্থানীয সাংসদের মাধ্যমে মাদরাসার উন্নয়নে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
এবিষয়ে মাদরাসা কমিটির (এ্যাডহক) সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন,তাদের মাদরাসায় অবকাঠামোসহ কিছু সমস্যা আছে, সেটা এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে দুর করা হবে ইনশাল্লাহ্।
স্ব.বা/বা