হেরে গেলেন মৌসুমী, আবার ক্ষমতায় মিশা-জায়েদ

বিনোদন

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: অজানা কারণে পেছন থেকে অনেকেই সরে গেলেন। তবুও শেষ পর্যন্ত একাই লড়াই করেলেন মৌসুমী। বিপরীতে শক্তিমান মিশা-জায়েদ প্যানেল। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগমুহূর্ত পর্যন্ত অনেকেই ভেবে রেখেছেন সমিতির নারী সভাপতি হিসেবে মৌসুমীই প্রথম বিজয়ের মশাল জ্বালাবেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে।
কিন্তু, না। হলো না। মাত্র ১২৫ ভোট পেয়ে হেরে গেলেন মৌসুমী। অন্যদিকে ২২৭ ভোট পেয়ে আবারও জয়ের মালা উঠলো ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিশা সওদাগরের গলায়। এদিকে ৩৮০ সংখ্যার বিপুল ভোট পেয়ে আবারও জয় নিশ্চিত করলেন সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে দ্বিবার্ষিক (২০১৯-২১) এই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন।

এবারের নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেল ছিল একটি- মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। এরমধ্যে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমী। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের বিপরীতে ছিলেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ইলিয়াস কোবরা। যিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৭টি!
সহসভাপতির দুটি পদে জয়লাভ করেন ডিপজল ও রুবেল। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মামনুন ইমন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন নির্বাচিত হন।

এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন ছাড়াই বিজয়ী হয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দফতর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ।

১১টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে জয়লাভ করেন− অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, বাপ্পা রাজ, আফজাল শরীফ, মারুফ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন ও জয় চৌধুরী। প্রত্যেকেই মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করেছেন।
এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটার সংখ্যা ৪৪৯ জন। ভোট দিয়েছেন ৩৮৬ জন।

ভোটকে কেন্দ্র করে বিএফডিসিতে আজ সারাদিন কড়া নিরাপত্তা দিয়েছে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা শহিদুল হারুন ও বিএইচ নিশান। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন আলম খান, সদস্য হিসেবে রয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান ও রশিদুল আমিন হলি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করতে চাইলে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে যোগাযোগ করতে হবে। এর জন্য আপিল বোর্ডের কাছে ২০০০ টাকা জমা দিতে হবে। নির্বাচনী আপিল বোর্ডের আপত্তির শুনানি ও নিষ্পত্তির তারিখ ২৯ অক্টোবর।

নির্বাচনী চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বিদায়ী পরিষদ নবনির্বাচিত পরিষদকে দায়িত্ব অর্পণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
২৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিএফডিসি’র (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন) শিল্পী সমিতির আর্টিস্ট স্টাডি কক্ষে ভোটগ্রহণ চলে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *