বিনোদন ডেস্ক: জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানের দেহরক্ষী হারুন অর রশিদ গত ( ৫ জানুয়ারি ) সোমাবার রাজধানীর গ্রিনরোডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সকালে মারা গেছেন। হঠাৎ করেই তার চলে যাওয়ায় মর্মাহত হয়েছেন শাকিব খান।
জানা গেছে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিলেন হারুন। চিকিৎসা চলছিল। এর পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। হারুনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লাতে। সেখানে পারিবারিক গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে দেহরক্ষীর মৃত্যুর পর শাকিব খানের সাথে পূর্বপশ্চিমের কথা হলে শাকিব খান বলেন, মাস খানেক ধরে অসুস্থ ছিলেন। মাথায় টিউমার হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল। টিউমার অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। অপারেশন সফলও হয়েছিল। প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। দু-এক দিনের মধ্যেই হাসপাতাল ছাড়ার কথা ছিল। আমার সঙ্গে কয়েক দিন আগে কথাও হলো, দ্রুতই আমার সঙ্গে কাজে যোগ দেওয়ার কথা। হঠাৎ করেই রোববার সকালে মারা যাওয়ার সংবাদ জানতে পারলাম। আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।
হাসপাতলে গিয়েছিলেন নাকি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না যাওয়া হয়নি। মরদেহ দেখার জন্য বের হয়েছিলাম। কিন্তু মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে বেশিক্ষণ রাখেনি। আমি যাওয়ার আগেই মরদেহ নিয়ে দেশের বাড়ি কুমিল্লায় রওনা হয়ে গেছেন আত্মীয়স্বজন। ‘বীর’ ছবির শুটিংয়ের শিডিউল ছিল এফডিসিতে। পরে সেখানে চলে এসেছি। অবশ্য আমার ভাই মনির সব সময়ই তাদের খোঁজখবর রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার সাথে হারুন প্রায় আট থেকে নয় বছর ছিলো। সম্ভবত ‘জান আমার জান’ ছবির শুটিংয়ের সময় আমার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। সব সময়ই জানপ্রাণ দিয়ে আমার জন্য কাজ করতেন। তার কাজে কখনোই গাফিলতি দেখিনি।
রাতের ঘুমানো ছাড়া সব সময়ই আমার সঙ্গেই থাকতেন উল্লেখ করে শাকিব খান বলেন, ও আমার পরিবারেই সদস্যদের মতোই থাকতেন। আন্তরিকতা নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে চলতেন। শুটিং বা যেকোনো জায়গায় গেলে আমাকে ছায়া দিয়ে রাখতেন। আমাকে নিরাপত্তা দিতেন। সত্যি কথা কি, খুব খারাপ লাগছে মানুষটার জন্য।
এদিকে শাকিব বর্তমানে ‘বীর’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি।
স্ব.বা/শা