ডাকে সাড়া দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চিকিৎসকদের উদ্বেগ এখনও কাটেনি। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দিয়েও তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫ শতাংশের আশপাশে, যা মোটেও স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার অনেক ডাকাডাকিতে দুপুরের দিকে ৪৮ ঘণ্টা পর অল্প চোখ খুলেন তিনি। ডা. অরিন্দম কর বলেছেন, ‌‘একে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হিসেবেই দেখছি।’

কোভিড এনসেফেলোপ্যাথিতে ক্রমশ চেতনা হারিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নেমে গেছে গ্লাসগো কোমা স্কেল। কাজ করছে না দুটি কিডনি। তিনটি ধাপে তার ডায়ালিসিস চলবে। দুটি ধাপ শেষ হয়ে এসেছে। ডাক্তারদের চিন্তায় রেখেছে তার হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।

শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা যায়, বৃহস্পতিবারও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। দ্রুত তা স্বাভাবিক করতে রক্ত দেওয়া হয়েছে অভিনেতাকে। ৮৫ বছরের অভিনেতার স্নায়বিক অবস্থার উন্নতি যেটুকু চোখে পড়ছে, তা অত্যন্ত ধীর গতির। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকরা অনেকবার তার নাম ধরে ডাকলে সামান্য চোখ মেলে তাকান তিনি।

টানা ২৪ দিন ধরে বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। দীর্ঘ এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। করোনা আক্রান্ত অবস্থায় তাকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্লাজমা থেরাপির পর তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সেইসঙ্গে চিকিৎসাতেও সাড়া দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু আচমকাই তার শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে সমস্যা বাড়িয়েছে কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি। তারপর থেকেই তার চেতনা ক্রমশ কমতে শুরু করে।

চিকিৎসকদের চিন্তায় রেখেছে সৌমিত্রের শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের তারতম্য। নতুন করে স্নায়ুরোগ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা না গেলেও প্রবীণ শিল্পীর উদ্বেগজনক স্নায়বিক অবস্থা নিয়ে ঘোর চিন্তায় চিকিৎসকরা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

স্ব.বা/শা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *