বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

বিনোদন

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: উপমহাদেশের বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার রুনা লায়লার জন্মদিন আজ। ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে তিনি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। একুশে পরিবারের পক্ষ থেকে এই গুণি শিল্পীর জন্মদিনে রইলো শুভেচ্ছা।

উপমহাদেশের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ক্যারিয়ারে বাংলা, হিন্দি, উর্দু মিলিয়ে মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। বাংলা সিনেমায় গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে সাত বার জিতেছেন ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ও পেয়েছেন।

রুনা লায়লা ১৯৬৬ সালে উর্দু ভাষার ‘হাম দোনো’ সিনেমার ‘উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা’ গানটি দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন। ষাটের দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে গান গাইতেন। বাংলা চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন স্বাধীনতার পর। অসংখ্য বাংলা সিনেমাতে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। গানের জন্য তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তানেও তুমুল জনপ্রিয়।

সাধারণত তার জন্মদিন বিশেষ আয়োজনের মধ্য দিয়েই উদযাপিত হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জন্মদিনটিকে ঘিরে কোন আয়োজনই থাকছে না। তবে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে আজ সকালে প্রকাশিত হচ্ছে রুনা লায়লার সুর করা গান ‘এই দেখা শেষ দেখা’ গানটি। গানটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সুর করেছেন রুনা লায়লা এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাজা ক্যাশেফ। গত ১২ ও ১৩ নবেম্বর গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন চন্দন রায় চৌধুরী।

গানটি প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘যেদিন প্রথম লুইপার কণ্ঠে শ্রদ্ধেয় বেগম আখতারের জোছনা করেছে আঁড়ি গানটি শুনি তখন মুগ্ধ হয়ে তাকে অভিনন্দন জানাই। পরবর্তীতে যখন এই দেখা শেষ দেখা গানটির সুর করি তখন তাকে গানটি গাইতে অনুরোধ করি এবং তার প্রতি আমার আস্থা ছিল। অনুরোধ করি এই অর্থে যে আমরা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে শিল্পী এবং প্রত্যেকেই যদি প্রত্যেককে সম্মান করি তাহলে সার্বিকভাবে আমাদের সঙ্গীতাঙ্গন আরো সুন্দর হবে। আমার প্রত্যাশার চেয়ে লুইপা অনেক ভাল গেয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ধ্রুব গুহকে উদ্যোগী হয়ে গানগুলো করার জন্য।’

ধ্রুব মিউজিক স্টেশন সূত্রে জানা যায়- রুনা লায়লা’র জন্মদিন উপলক্ষে একে একে প্রকাশিত হবে আঁখি আলমগীরের কণ্ঠে ‘কোথায় রেখেছো আমায়’, তানি লায়লার কণ্ঠে ‘কেন হয়ে গেছি পর’ ও হৈমন্তী রক্ষিতের কণ্ঠে ‘আকাশে মেঘ জমেছে’ গান তিনটি। তানি লায়লা’র গানটির গীতিকবার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের। বাকি দুটো গান কবির বকুলের লেখা। গানগুলোর সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাজা ক্যাশেফ।

রুনা লায়লা প্রথম সুর করেন আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমায়। ‘গল্প কথার ওই কল্পলোকে জানি’ গানটি লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন সাহা। রুনা লায়লার সুরে এই গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আঁখি আলমগীর। এই গানেরই সুর করে প্রথম সুরকার হিসেবে রুনা লায়লা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *