নুসরাত-যশের প্রেম তুঙ্গে, বিস্ফোরক মন্তব্য স্বামী নিখিলের!

বিনোদন

স্বদেশবাণী ডেস্ক: দুই বছর আগে নিখিল জৈনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়েতে জড়ান টালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান।  কিন্তু বিয়ের এক বছর পরই আচমকাই ছন্দপতন রূপকথার প্রেমকাহিনিতে। নিখিল-নুসরতের দাম্পত্য সম্পর্কের চিড় এখন টলিগঞ্জের ওপেন সিক্রেট। সঙ্গে যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নুসরতের ঘনিষ্ঠতাও নজর কাড়ছে সবার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নিখিল বলেছেন- ‘ওদের(নুসারত-যশ) সম্পর্ক নিয়ে আমার পক্ষে কিছু মন্তব্য করাটা এখনই উচিত হবে না। বিয়ে একটা পবিত্র প্রতিষ্ঠান, কেউ এটাকে কলঙ্কিত করা বা সুযোগ নিয়ে তার সদ্বব্যবহার করা উচিত নয়। তা বাইরে থেকে হোক বা ভেতর থেকে’।

নিখিল আরও বলেন, ‘আমার ভাবনাচিন্তা এমনিতে খুব মুক্ত, কিন্তু যখন পরিবার কিংবা আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতির প্রশ্ন আসে তখন আমি গোঁড়া। আমি শুধু ভালোবাসা নিয়েই বাঁচতে চেয়েছি। সময়ের প্রয়োজনে যেটা ঠিক সেটাই করার চেষ্টা করেছি। এটা আমার পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য’।

খবরে বলা হয়েছে, হিমাচলে ঘুরতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন নিখিল। একটি পোস্ট নিখিল জানান, ‘মানুষ কীভাবে তোমার সঙ্গে ব্যবহার করবে সেটা তাদের কর্মফল।তুমি পালটা কেমন আচরণ করবে সেটা তোমার কর্মফল’। অপর একটি পোস্টে তিনি লেখেন- ‘জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত আলাদা। চুম্বন, সূর্যাস্ত, নাচ, প্রতিশ্রুতি, আজীবন একটা মুহূর্তেই ধরা থাকে। একইভাবে পুনঃরাবৃত্তি ঘটে না’।

নিখিলের এই ভাবনা দেখে অনেকেই মনে করছেন জীবনে এগিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। তাও নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে। এই পোস্টগুলো সম্পর্কে নিখিল বলছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আমি কিছু বোঝাতে চাইছি না। শুধু নিজের মনের শান্তিটুকু খুঁজে নিতে চাইছি। আমি কর্মফলে বিশ্বাসী। মনে করি তুমি যেমনটা করবে, তোমার সঙ্গেও তেমনটাই ঘটবে। তুমি ভালোবাসলে, পরিবর্তে ভালোবাসা পাবে’।

নিখিলের ভাষ্য মতে, তিনি সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে চান। নিজেকে নতুন করে খুঁজে নিতে চান।

যশ-নুসরতের একসঙ্গে রাজস্থান সফর ও একসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে যাওয়া, এমনকি নিজেদের প্রথম মাচা শোয়ের জন্যও এক গাড়িতে নদিয়া যাওয়া- ক্রমেই তাদের বন্ডিং মজবুত হচ্ছে। যদিও এই ইকুয়েশন নিয়ে মুখে কিছুই বলতে চান না তারা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *