শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে কাশ্মীরে যশরতের মধুচন্দ্রিমা!

বিনোদন

স্বদেশবাণী ডেস্ক: কাছাকাছি আসতে শেষমেশ দূরে যাওয়াতেই আস্থা রাখলেন ‘যশরত’। ছুটির খোঁজে যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান বেছে নিলেন ঢের দূরের এক ঠিকানা। সে দূরত্ব শহর কলকাতার থেকে। সে দূরত্ব চেনা মানুষের থেকেও। একান্ত-যাপনে তাই সো-জা কাশ্মীর পাড়ি!

ভূস্বর্গে কী কী আছে? আছে পাহাড়, আছে নদী, আছে বরফও। কিন্তু পাহাড়, নদী, বরফে মোড়া শীত-ছুটির ঠিকানা তো ছিল ঘরের কাছেই। দার্জিলিং। কলকাতা থেকে যা মাত্র ৬২৬.৩ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু তিন সংখ্যা ছেড়ে চার সংখ্যার দূরত্বে মন মজল কেন যশ-ঘরণীর?

১। বিতর্ক থেকে ‘ছুটি’— গত বছর নভেম্বর মাস থেকে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন নুসরত। প্রথমে সাবেক স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ের টালমাটাল অবস্থা, ফের যশের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, তার পর যশেরই সন্তান ঈশানের জন্ম দেওয়া। বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালার যথেষ্ট উপাদান সরবরাহ করেছেন নিজেই। এ বার একটু পাহাড়ের কাছে একা হতে চেয়েছিলেন নুসরত। সেই মতো ছেলে ঈশানকে নিজের মায়ের কাছে রেখে বেড়াতে গিয়েছেন স্বামীর সঙ্গে। দার্জিলিং মানে তো সেই বাংলার পরিধি! না চাইতেও দেখা হয়ে যেতে পারে এমন অনেক মানুষের সঙ্গে, বিতর্ক চলাকালীন যাঁরা নুসরতকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাই বোধহয় বহু দূরে, দেশের মানচিত্রের একদম উত্তরকেই বেছে নিলেন ‘যশরত’।

২। যুগলে মধুনিশি— প্রথম প্রথম কেবল বরফের সামনে নিজের ছবি। তার পর ছবির সৌজন্যবাক্সে যশের নাম। বুধবার একেবারে যশের হাতে আদর-ছোঁয়ার ভিডিও’য় প্রেম-যাপন। সোহাগে, ভালবাসায় যাকে বলে, শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে জমিয়ে মধুচন্দ্রিমা! যুগলে বেড়াতে গিয়েছেন আগেও। তবে প্রকাশ্যে যশকে স্বামী হিসেবে স্বীকার করার পর এই প্রথম। ভিড়-ভাট্টা থেকে দূরে একান্তে না কাটালে হয়? ভিড়ে গমগম করা দার্জিলিং ছেড়ে তাই কাশ্মীরি খুশবুই যে বেশি মনে ধরবে, তাতে আর সন্দেহ কী! যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই মুহূর্তে দার্জিলিংয়ে যাওয়া বেশ অসুবিধার। কিন্তু নুসরত অবশ্যই ধসের জন্য সিদ্ধান্ত বদল করেননি। কারণ কাশ্মীরের টিকিট যে আগেই কাটা হয়ে গিয়েছিল, তা বুঝতে বেগ পেতে হয় না।

৩। ‘দূরকে করেছো নিকট’— কবিতাতেই তো আছে ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া…’। ঘরের কাছে, হাতের নাগালে থাকা সব কিছুর চেয়ে বরাবরই তো দূরের জিনিসের কদর বেশি। বেশির ভাগের কাছেই। দার্জিলিং ছেড়ে ‘যশরত’-এর ভূস্বর্গে পাড়ির নেপথ্যেও সেটাই কারণ নয় তো?

৪। আসল কারণ— তবে চর্চা যতই হোক, খাতায়-কলমে আসল কারণও রয়েছে একটা। পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের ছবি ‘চিনে বাদাম’-এ অভিনয় করছেন যশ এবং এনা সাহা। সেই কাজের দৌলতে যশকে কাশ্মীরে যেতেই হত। সেই সফরে সঙ্গী হয়েছেন নুসরতও। কাজও হল, মধুচন্দ্রিমাও। এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন যশ!

এবং যেটা অবশ্যই কারণ নয়— নুসরাত যখন কাশ্মীরে, ছুটি কাটাতে তার প্রাক্তনও হাজির কাছাকাছি। লেহ-লাদাখে ছুটি কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিচ্ছেন সেই সফরের নানা মুহূর্ত। সঙ্গে দিচ্ছেন নতুন করে জীবন শুরুর বার্তাও। যশ-নুসরতের থেকে মাত্র ৪১৮ কিলোমিটার দূরেই অবস্থান তার প্রাক্তনের। এ নিয়ে চর্চা হতে পারে বিস্তর। তবে দার্জিলিংয়ের বদলে নুসরতের কাশ্মীর যাওয়ার নেপথ্যে যে কারণগুলি একেবারেই অসম্ভব-গোত্রীয়, সে তালিকায় এই ‘কাছাকাছি’ আসা থাকছে প্রথম স্থানে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *