আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে চলতে থাকা আন্দোলন গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। উত্তর প্রদেশের রাজ্যের বিজনৌর জেলার পুলিশ জানায়, আত্মরক্ষার জন্য একজন কনস্টেবল ২০ বছর বয়সী সুলেমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে রাজ্যটির ১৫ জন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগ গুলির আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল যে তারা কোথাও বিক্ষোভকারীদের উপরে একটি গুলিও চালায়নি।
বিজনোর পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগী এনডিটিভিকে ওই প্রতিবেদনে বলেন, “আমাদের একজন কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। যখন ছিনতাই করা বন্দুকটি আমাদের কনস্টেবল ফিরিয়ে নিতে এগিয়ে যান, তখন উন্মত্ত জনতার মধ্যে থেকে একজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যায়।
অল্পের জন্য বেঁচে যান আমাদের পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে এবং আত্মরক্ষা করতে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি চালান ওই কনস্টেবল। এরফলে মারা যান সুলেমান, এরপর তার বন্ধুরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়।”
বিক্ষুব্ধ জনতার দিক থেকে গুলি চলার ফলে আরও একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়, তার নাম আনাস বলেও জানান সঞ্জীব ত্যাগী নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এরআগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান ওপি সিং এনডিটিভিকে বলেন, “আমরা কোথাও একটা গুলিও চালাইনি।”
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছিল যে রাজ্যে হিংসার নানা ঘটনায় কেবল প্রতিবাদকারীরাই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছিল। পুলিশের দাবি ছিল যে বিক্ষোভকারীদের আগ্নেয়াস্ত্রে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা