আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বানিজ্যিক বিধিনিষেধ চালু করল মোদী সরকার। কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
তাকে এ বার মুখ খোলার খেসারত দিতে হচ্ছে। তার মন্তব্যে রীতিমতো অখুশি মোদী সরকার মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল কেনার ওপর বিধি নিষেধ চালু করল।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়েছে প্রধাণত, মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতেই অশোধিত পাম তেলের আমদানিকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ তালিকায় রাখা হয়েছে। এতদিন এই আমদানি ‘ফ্রি’ ছিল। তার মানে ভারত এখন শুধু অশোধিত পাম তেল আমদানি করবে, পরিশেোধিত পাম তেল নয়।
এতেই মালয়েশিয়া ধাক্কা খাবে। সুবিধা হবে ইন্দোনেশিয়ার। কারণ, ভারত-ইন্দোনেশিয়া থেকে মূলত অপরিশোধিত পাম তেল ও পামোলিন আমদানি করে। আর পরিশোধিত পাম তেল আসতো মালয়েশিয়া থেকে।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘মালয়েশিয়াকে শিক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিছুদিন থেকেই মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলির সঙ্গে চুক্তির নবীকরণ করা হচ্ছিল না বরং ইন্দোনেশিয়ার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছিল।
মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে বানিজ্যিক ব্যবস্থা নেয়ায় মোহাথির অসুবিধায় পড়বেন, ভারতের কিছু হবে না। কারণ, ভারত তো ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেল পেয়েই যাচ্ছে।’
কী বলেছিলেন মাহাথির, যার জেরে এই ব্যবস্থা নেয়া হল?
গত অক্টোবরে মাহাথির বলেছিলেন, কাশ্মীরে হানা দিয়ে তা দখল করে রেখেছে ভারত। গত মাসে তিনি বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জন্য ভারতে অশান্তি দেখা দিয়েছে৷ ঘটনা হল, সচরাচর অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সচরাচর মন্তব্য করেন না। এর ব্যতিক্রম নেই তা নয়, তবে নিজের দেশের স্বার্থবিরোধী না হলে অন্য কোনও দেশ সংসদে অনুমোদিত কোনো আইন সম্পর্কে মুখ খোলে না। মাহাথির অবশ্য সে সবের তোয়াক্কা না করে সরাসরি কাশ্মীর ও সিএএ নিয়ে বলেছেন। এতেই প্রবল চটেছে মোদী সরকার। বানিজ্য বিধিনিষেধ সে জন্যই। জয়ন্ত রায়চৌধুরীর মতে, ‘এটা অন্য দেশের প্রতি একটা বার্তাও।’
ভারতের মতো বাজার, বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে। তাই ভারতের বিরোধিতা করার আগে অন্যদেরও দু-বার ভাবতে হয়। মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল সবথেকে বেশি পরিমাণে ভারতেই আসত। তাই এই সিদ্ধান্ত আর্থিক দিক থেকে তাদের সমস্যায় ফেলবে। সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল।
স্ব.বা/শা