আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সময়ের আতঙ্ক করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮০ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার হাজার মানুষ। গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে ভাইরাসটির আবির্ভাব ঘটে। এর পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে চীন। প্রতিষেধক তৈরিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
উইবো, টুইটার ও ফেসবুকে অনেকেই পোস্ট করছেন সেই পদ্ধতি।
চীনের সোশ্যাল মিডিয়া উইবোতে দেখা গেছে একদল বিশেষজ্ঞ বলেছেন, স্যালাইন পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে।’
এমন খবরে পানিতে লবণ গুলিয়ে তা দিয়ে কুলি করার হিড়িক পড়েছে দেশটিতে। তবে চিকিৎসা পদ্ধতিটি ভুয়া বলে জানিয়েছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে করেনাভাইরাস নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের বর্ণনা উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পদ্ধতিটি সঠিক নয়। এভাবে করোনাভাইরাস নির্মূল হবে বলে কোনো বিশেষজ্ঞ জানায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্যালাইন পানি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম নয়। এই ভুয়া পদ্ধতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করতে আহ্বান জানান তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একইরকম বার্তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
এদিকে ভাইরাসটির নিয়ন্ত্রণে নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেছে চীনের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীদের এ দাবি প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়েছে, দুটি হাসপাতালের সাতজন মেডিকেল স্টাফের ওপর এ নতুন ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এসব রোগীর দেহে সংক্রমিত ভাইরাসের লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন।
টোংজির ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ অব হুয়াংজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এক টুইটবার্তায় শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির কাছে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
তবে নতুন এই ভ্যাকসিনে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের খবরটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকজনের মৃত্যুর পর ব্যাপক মাত্রায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশটির অনেক প্রদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। সব জায়গাই এখন ফাঁকা। বন্ধ রয়েছে অনেক পর্যটন কেন্দ্র। এদিকে ভাইরাসটি এশিয়ার কয়েকটি দেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
সেসব জায়গায় চিকিৎসকদের সতর্ক অবস্থানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।
স্ব.বা/শা