আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার ইদলিব অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমে সরকারি বাহিনীর গোলাবর্ষণে তুরস্কের চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের হামলায় আরও নয় সেনা আহত হয়েছে, এদের একজনের অবস্থা মারাত্মক।
তুরস্কের দাবি, এই হামলার জবাবে ওই অঞ্চলের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।
সিরীয় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিবে সম্প্রতি অভিযান জোরালো করেছে সরকারি বাহিনী। রুশ যুদ্ধবিমানের সহায়তায় চালানো এই অভিযানের কারণে অঞ্চলটি ছেড়ে হাজার হাজার শরণার্থী পালাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
নতুন করে শরণার্থী সংকটের আশঙ্কায় রবিবার সিরীয় সীমান্তে ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। এর একদিন পরেই তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে সিরীয় বাহিনী।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তে সেনা অবস্থানের কথা অবহিত করার পরেও হামলা চালিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করেছি যে আমরা কেবল সিরীয় বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছি, কেবল সিরীয় শাসক বাহিনীকে। কারণ, তারাই তুর্কি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তুর্কি সেনাদের ওপর যারা হামলার জন্য দায়ী তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করবো আমরা। আর আমি যখন কথা বলছি তখন আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান নিজেদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে’। এরদোয়ান দাবি করেন, পাল্টা হামলায় ৩০ থেকে ৩৫ জন সিরীয় সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
স্ব.বা/শা