যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে কারফিউ উপেক্ষা করে  বিক্ষোভ অব্যাহত

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে কারফিউ উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে শনিবারও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরে ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। খবর এএফপি ও আলজাজিরার।

নর্থ ক্যারোলিনায় শনিবার সোনালি কফিনে করে মিনিয়াপোলিসে নিহত জর্জ ফ্লয়েডের লাশ সমাধিতে নিয়ে যাওয়ার সময় হাজার মানুষ মাস্ক পরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই শবযাত্রায় অংশ নেন।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে ১২ দিন চলা বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে শনিবারই সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হয়। কারফিউ ভেঙে জর্জ ফ্লয়েডের নিজ শহর নর্থ ক্যারোলিনা ছাড়াও বড় বড় শহরে বিশাল প্রতিবাদসভা হয়েছে।

আমেরিকায় প্রতিবছর পুলিশের হাতে মারা যায় এক হাজার ২০০ জন। কিন্তু ৯৯ শতাংশ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয় না।

মিনেসোটায় পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর গোটা আমেরিকাজুড়ে যে ব্যাপক প্রতিবাদ ও দাঙ্গা হয়েছে, তাতে গণদাবির মুখে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদের মধ্যে ডেভিড শভিন নামে একজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যার অভিযোগ।

এই পুলিশ অফিসার ২৫ মে মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে তার হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেছিল ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড।

আরও তিনজন পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়েছে শভিনকে সহযোগিতা করার এবং হত্যাকাÐে মদদ জোগানোর দায়ে। দোষ প্রমাণিত হলে চারজনেরই সর্বোচ্চ ৪০ বছর করে কারাদÐ হতে পারে।

বিক্ষোভকারীরা আশা করছেন, ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকায় পুলিশ অফিসাররা কাউকে হত্যা করলে আইন তার ক্ষেত্রে কীভাবে প্রযোজ্য হবে তাতে একটা আমূল পরিবর্তন আসবে। কারণ ফ্লয়েডের ঘটনাটি খুবই ব্যতিক্রমী।

কিন্তু আমেরিকার আইনে, পুলিশ অফিসারদের ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ আইনি সুরক্ষা রয়েছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *