নজিরবিহীন দ্বিতীয়বার অভিশংসিত ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হওয়ার কলঙ্ক নিয়ে মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছেন।

গত সপ্তাহে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয়কে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা।

ওই দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বুধবার তাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা। যাতে তার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদেরও সায় ছিল।
ভোটের পর ডেমোক্র্যাটিক স্পিকার ন্যানসি পেলোসি বলেন, আজ দ্বিদলীয় সমর্থনে এই ভোটে এটিই প্রমাণিত— কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না; এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও না।

আগামী ২০ জানুয়ারির আগে সিনেটে তার বিচার অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ নেই। ডেমোক্র্যাটদলীয় জো বাইডেন এদিনই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।

তার অর্থ দাঁড়াচ্ছে– ধনকুবের আবাসন ব্যবসায়ী ট্রাম্পকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপমানজনকভাবে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে না।

তবে পরবর্তী সময় তাকে সিনেটের বিচারের মুখে পড়তে হবে। এতে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি নিষিদ্ধ হতে পারেন।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর চাক শুমার বলেন, মার্কিন ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যথোচিতভাবেই দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত হওয়ার কলঙ্ক বহন করছেন। কাজেই সিনেটেও তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।

বিবিসির খবর বলছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আনা এই প্রস্তাবে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টিরও সমর্থন মেলে। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিসহ ১০ জন রিপাবলিকান নেতা ভোট দেন ডেমোক্র্যাটদের আনা এ প্রস্তাবে।

সিএনএন জানিয়েছে, ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটি ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয়। সহিংস বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার জন্য দায়ী করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি পাস হয়।

ট্রাম্পের সমালোচক রিপাবলিকানদলীয় সদস্য অ্যাডাম কিনজিংগার বলেন, আমার মন আজ খুবই শান্ত। এ কারণে যে, আমি সঠিক জায়গায় ভোটটি দিতে পেরেছি। ইতিহাস ঠিক এভাবেই মূল্যায়ন করবে বলে আমি মনে করছি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *