স্বদেশবাণী ডেস্ক: বুধবার চীনের রাজধানীতে আংশিকভাবে লকডাউন জারি করা হয়, যেখানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১.৬ মিলিয়ন বাসিন্দাকে বেইজিং ছেড়ে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
বুধবার নগরীর দক্ষিণে তাশিং জেলার ছয়টিসহ সাতজন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। তাশিংয়ের ১.৬ মিলিয়ন বাসিন্দা বেইজিং ত্যাগ করতে পারবে না, যদি না তারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি না নিয়ে এবং কোভিড-১৯-এর জন্য পরীক্ষা না করে।
তাশিং এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যেখানে কোভিড আক্রান্ত ধরা পড়েছিল তাদের বাড়ির অভ্যন্তরেই থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার উত্তর-পূর্ব জিলিন প্রদেশের প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন লোককে লকডাউনের আওতায় রাখা হয়েছে। এক ভ্রমণকারী বিক্রেতার মাধ্যমে শতাধিক লোক সংক্রমিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
লকডাউনের মধ্যে ব্যাপক বিপাকে বেইজিংয়ে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ সবাই। লকডাউনে আবদ্ধরত তাশিং শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক স্যামির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, লকডাউনের এ পরিস্থিতিতে সব সময় ঘরের মধ্যেই সময় কাটাতে হচ্ছে। হঠাৎ লকডাউন দেয়ায় খাবার সংগ্রহে না থাকায় হালাল খাবার অনলাইন থেকে সংগ্রহ করাটা একটু কষ্টকর। মসজিদ বন্ধ থাকায় নামাজ-কালাম বাড়িতেই পড়তে হয়।
বেইজিং সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রি করোনা টেস্ট ইভেন্ট চলছে। বরাবরের মতো এবারও শীঘ্রই বেইজিং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে কর্তৃপক্ষ। এ বছরও লকডাউনের মধ্যেই চলবে বেইজিংয়ের স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল।