সেরে উঠছেন সৌরভ, হাসপাতাল ছাড়ছেন

আন্তর্জাতিক

স্বদেশবাণী ডেস্ক: ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর হৃদযন্ত্রে তিন তিনটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। ব্লকেজের বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠিসহ সৌরভের চিকিৎসকরা।

সঠিক চিকিৎসার পর সৌরভ দিন দিন সেরে উঠছেন। আজ তিনি হাসপাতাল ছাড়তে পারেন।

অস্ত্রোপচারের পর সৌরভের অবস্থা জানাতে তার চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে বলেন, ‘বেশ ভালো আছেন সৌরভ। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছেন। রাতে দারুণ ঘুম হয়েছে তার। আগের থেকে অনেকটাই সুস্থবোধ করছেন। হয়তো আজ (রোববার) সকালেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবেন সৌরভ।’

হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারের দুদিন পার হতেই সৌরভের হাসপাতাল ছাড়ার পরিকল্পনার বিষয়ে ড. সপ্তর্ষি বসু বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দিচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডপ্রধান। তাই দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এ নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আগামী কয়েক দিন বিশ্রামের পরেই সৌরভ আবার আগের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন।’

বর্তমানে কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনিগ্রেস হাসপাতালে চিকিৎসক আফতাব খান ও চিকিৎসক অশ্বিন মেহতার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সৌরভ। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এনজিওপ্লাস্টির পর সৌরভকে ক্রিটিক্যাল ইউনিটে রাখা হয়েছিল। কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু দ্রুতই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় শুক্রবার তাকে ব্যক্তিগত কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। এ মুহূর্তে হাসপাতালের ‘মহারাজা শুট’-এ আছেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ। পরিবার ও কাছের বন্ধুদের সঙ্গে খোশ মেজাজে আড্ডা দিচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে এনজিওপ্লাস্টির পর সৌরভের হার্টে দুটি স্টেন্ট বসানো হয়। প্রথমে একটির কথা জানানো হলেও পরে দুটি স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত দেন দেবী শেঠি। দেবী শেঠি ও মুম্বাইয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অশ্বিন মেহতার তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রসঙ্গত গত ২৭ জানুয়ারি থেকে কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনিগ্রেস হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সৌরভ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বর্তমান সভাপতির চিকিৎসায় কোনো কমতি রাখছেন না হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

গত ২ জানুয়ারি শরীরচর্চার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কলকাতার বেসরকারি উডল্যান্ডস হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ায় একটি স্টেন বসানো হয়। পরে ডা. দেবী শেঠি ও অন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ৭ জানুয়ারি তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকে মহারাজের শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু গত বুধবার ফের বুকে ব্যথা অনুভব করলে অ্যাপোলোতে ভর্তি করা হয় তাকে।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *